আওয়ার ইসলাম: করোনায় বেড়েই চলছে মৃত্যুর মিছিল। ভয়ানক এই মহামারির এখনও কোনো প্রতিষেধক তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তাই বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে সবাইকে। করোনা থেকে নিজেকে বাঁচাতে সবসময় হাত পরিষ্কার রাখা খুব জরুরি। হাত পরিষ্কার রাখার জন্য সাবান-পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
প্রয়োজনের তাগিদেই আমাদের প্রতিদিন এমন কিছু জিনিস হাত দিয়ে স্পর্শ করতে হয় যার মাধ্যমে খুব সহজেই ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। সেসব জিনিস স্পর্শ করা মাত্রই হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে। এতে করে সহজেই ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়।
রেস্টুরেন্টের মেন্যু: রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে কম-বেশি সবাই মেন্যু হাত দিয়ে ধরেন। এক মেন্যু অনেক মানুষ ব্যবহার করেন। এতে লেগে থাকে লাখো জীবাণু। যা থেকে সহজেই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই মেন্যু স্পর্শ করার পর অবশ্যই হাত ধুয়ে নেবেন।
টাচস্ক্রিন: আমাদের নিত্যদিনের কাজের অংশ মোবাইলের স্ক্রিন বা অফিসের বায়োমেট্রিক স্ক্যানার। এগুলো জীবাণু বহন করে। তাই এসব স্পর্শ করার পর হাত ধুয়ে ফেলুন।
টাকা: আপনি যে টাকা দিচ্ছেন বা নিচ্ছেন তা অনেকবার হাত বদল হওয়া। আর তাই এতে নানা ধরনের জীবাণু লেগে থাকা স্বাভাবিক। থুতুর সাহায্যে ভুলেও টাকা গুণবেন না। টাকা হাত দিয়ে ধরার পর অবশ্যই হাত জীবাণুমুক্ত করে নিন।
গাড়ি বা দরজার হাতল: গণপরিবহনের হাতল, দোকানপাট, অফিস, লিফট, বাসা প্রভৃতির দরজায় থাকে ব্যাকটেরিয়া। তাই এসব স্থান স্পর্শ করার পর অবশ্যই হাত ধুয়ে নেবেন।
চিকিৎসক ও হাসপাতালের জিনিসপত্র: একজন চিকিৎসকের কাছে নানারকম রোগী আসেন। যার ফলে সেখানকার অধিকাংশ জিনিসেই থাকতে পারে ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু। তাই চিকিৎসকের কাছে গেলে এরপর হাত ধুয়ে নেবেন।
কিচেন বোর্ড: জীবাণুর অন্যতম স্থান হলো রান্নাঘর। সবজি বা ফল কাটতে যে কিচেন বোর্ড ব্যবহার করা হয় তাতে জীবাণু থাকে। থালা-বাসন ধোয়ার জন্য ব্যবহৃত স্পঞ্জেও জীবাণু বাস করে। তাই অবশ্যই হাত ধুয়ে নেবেন।
-এএ