মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সৌদির সেবা কোম্পানির সঙ্গে হজ এজেন্সির চুক্তির নির্দেশনা মহেশখালী থানার বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু চাঁদপুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহর সাফল্য বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত

করোনায় বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের কঠোর পদক্ষেপ চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ঝুঁকি মারাত্মক হয়ে ওঠায় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি কঠিন সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এই অঞ্চলের দেশগুলোকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে সতর্কবার্তায়।

গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রায় ৫০০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, ‘পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। ভাইরাস যেন আরও মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে না পারে তা নিশ্চিত করতে আমাদের অতিসত্ত্বর কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।’

ড. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং আরো বলেন, বলেন, ‘বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এটি যদিও একটি ইঙ্গিত যে, ভাইরাস সংক্রমণ বিষয়ক নজরদারি কার্যকরভাবে হচ্ছে, তবে কোভিড-১৯ প্রতিহত করতে যে আমাদের আরও জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে সেটিও স্পষ্ট।’

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে শনাক্তকরণ, পরীক্ষা, চিকিৎসা, আইসোলেশন ও রোগীর সঙ্গে কারা মেলামেশা করেছিলেন তাদের শনাক্তের ওপর। ডক্টর ক্ষেত্রপাল সিং হাত ধোয়া, হাঁচি ও কাশি নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিকভাবে মানুষ থেকে দূরে থাকার ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব আরোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘শুধু এগুলো মেনে চলার মাধ্যমে সংক্রমণ কমানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়।’ তবে বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে যদি ভাইরাস ছড়িয়েই পড়ে, সেক্ষেত্রে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ করতে দেশগুলোকে আরও শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। তখন জরুরি অবস্থায় নেয়া পদক্ষেপের পরিধি এবং গুরুত্ব আরও বাড়াতে হবে।

জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্যসেবা এবং হাসপাতালের নেটওয়ার্ক তৈরি করা প্রয়োজন হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে এবং ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সামান্য আক্রান্তদের স্বেচ্ছাপ্রণোদিত আইসোলেশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

-এ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ