বেলায়েত হুসাইন: উত্তর ককেশাসে এই প্রথম নির্মাণ করা হয়েছে ইসলামী সংস্কৃতির একটি দৃষ্টিনন্দন জাদুঘর। রাশিয়ার অর্থায়নে নবনির্মিত জাদুঘরটি ককেশাসের কাবার্ডিনো-বালকারিয়া প্রজাতন্ত্রে অবস্থিত। এটিকে বলা হচ্ছে, উত্তর ককেশাসের ইসলামী সংস্কৃতির প্রথম জাদুঘর।
কাবার্ডিনো-বালকারিয়া প্রজাতন্ত্রের ইসলাম বিষয়ক উপপরিচালক আলিম সেজাগোফ বলেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে ককেশাসের নালচিক নগরীর ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন নতুন এই জাদুঘরটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ঐতিহাসিক বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে জানা যায়, খৃষ্টীয় দশম ও একাদশ শতাব্দীতে কাবার্ডিনো-বালকারিয়া প্রজাতন্ত্রে ইসলামের আলো এসে পৌঁছায়। দীর্ঘ সময় পরে হলেও আজ বলা যায়, এই অঞ্চলের আদিবাসীরা সফলতার আরেকটি সিঁড়ি মাড়িয়ে ওপরে ওঠল। মুসলিমদের ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে তারা বড় একটি ইসলামি সংস্কৃতির জাদুঘর নির্মাণ করতে পেরেছে।
চোখধাঁধানো নির্মাণশৈলী সমৃদ্ধ এই জাদুঘরে একটি মসজিদ রয়েছে। তাছাড়া, ইসলামি নানারকম আচার-অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে স্বতন্ত্র জায়গার। দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সম্পর্কীত ইসলামের নানা বিষয় দেয়ালগুলোতে রং তুলির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে অত্যন্ত চমৎকারভাবে। ক্যানভাসে আঁকা কবিতা-শেরের পঙক্তিগুলি দর্শণার্থীকে শতশতবছর আগের দিনগুলোর স্মৃতিমন্থর করতে বাধ্য করে। এছাড়াও, জাদুঘরটিতে প্রাচীন যুগের ইসলামি বহু নিদর্শনের সমাবেশ ঘটানো হয়েছে।
কাবার্ডিনো-বালকারিয়া প্রজাতন্ত্র উত্তর ককেশাসে অবস্থিত রাশিয়ার একটি ফেডারেল রাজ্য। নালচিক এই রাজ্যের রাজধানী। কাবার্ডিনো-বালকারিয়া প্রজাতন্ত্রে প্রায় দশ লক্ষ মানুষ বসবাস করে। সূত্র: শাফাকনা ডটকম।
-এএ