মাসউদুল কাদির ।।
আমার মতের সঙ্গে কারও হয়তো দ্বিমত থাকতেই পারে। যেহেতু দেশের শিক্ষামন্ত্রণালয় সবধরনের স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি বিশ্বে ছড়িয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেশকে এবং দেশের মানুষকে বাঁচানো কিন্তু আমাদের ঈমানী দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। সেটা যত সহজ করে আমরা বুঝতে পারবো ততই দেশের জন্য মঙ্গল।
প্রতিটি ক্ষেত্রেই আবেগ জরুরি নয়। আমরা মাদরাসার ছুটিতে বাড়িতে গেলে আল্লাহকে ভুলে যাই না। আল্লাহ সবসময় আমাদের সঙ্গেই থাকেন অথবা আমরা আল্লাহর সঙ্গেই থাকি। আল্লাহকে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়।
মাদরাসা ছুটি হলে শেষ রাতে আল্লাহকে ডাকবে কে? এগুলো অতি আবেগী এবং অপরিপক্ব সাদালাপ। আমি অপালাপ বল্লাম না। করোনা একটা মহামারী। বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্বের যেকোনো রাষ্ট্রের চেয়ে খারাপ হয়ে যেতে পারে। এটা হলফ করেই বলা যায়।
কানে কানে আরও একটা গোপন কথা বলে রাখা ভালো, মাদরাসার আবাসিক পরিস্থিতি কিন্তু অতটা সুবিধের নয়। দেশের জেনারেল প্রতিষ্ঠানগুলোর আবাসিক ব্যবস্থার তুলনায় ভালো নয়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে যেখানে রাত সেখানেই কাত।
তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আল্লাহর প্রতি ভয়, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহর প্রতি আমল থাকার কারণে অনভিপ্রেত বালামসিবত থেকে বেঁচে থাকে। এটা আল্লাহর রহমত ছাড়া আর কিছু নয়।
মুরুব্বী আলেমগণ আশা করি ভালো সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা সেটাকে স্বাগত জানাতে চাই। মাদরাসা ছুটি না দিয়ে চালু রেখে সমূহ বিপদের ভার কাঁধে নেওয়াটা বুদ্ধিমানের হবে না কিছুতেই। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
-(লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া)
আরএম/