তানভীর সিরাজ
অতিথি লেখক
শেষ ভালো যার সব ভালো তার। এটি প্রায় সব ক্ষেত্রেই রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যার শেষ কথা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (কালিমা)' হয় সে জান্নাতেই প্রবেশ করলো। আর মাউতের মধ্যে উত্তম মাউত হল শহিদের মাউত বা মৃত্যু। সুতরাং যার ভাগ্যে শহিদের মৃত্যু জোটে সে খুব ভাগ্যবান ব্যক্তি।
নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সোনালী যুগে ও তার পরবর্তী সময়ে ইসলামী জিহাদ থাকার কারণে নসিবে থাকলে শহিদের মাউত হত আল্লাহর রাস্তায়, কিন্তু আজও তা অব্যাহত আছে কিছু কিছু দেশে। কিয়ামত পযর্ন্ত সত্যের এই জিহাদ চলতে থাকবে।
আগেকার মতো আজকাল এতো সহজে আল্লাহর জন্য শহিদ হওয়া যায় না যে, জিহাদ করে শহিদ হবে। তবে যারা জিহাদের নামে সন্ত্রাস করে মুজাহিদ সাজতে চায় তারা কখনও মুজাহিদ হতে পারে না, বরং তারা সন্ত্রাসী, চরম হিংসুটে। এটি দীর্ঘ আলোচনা সাপেক্ষ বিষয়।
শায়খুল মাশায়েখ আল্লামা মুফতি গোলাম কাদের (সাতকানিয়া হুজুর) এর বয়ান থেকে ধারণকৃত আজ এমন কিছু আমল উল্লেখ করবো যার দ্বারা এখনও শাহাদাতের পেয়ালা পান করা যাবে।
এখানে সেই আমলের কথা উল্লেখ করা হলো, যথা-
১. সুরা ইয়াসমিন শরিফ প্রতিরাতে এক একবার মনযোগ দিয়ে তেলাওয়াত করা।
২. সুরা মুল্ক প্রতিরাতে এক একবার মনযোগ দিয়ে তেলাওয়াত করা।
৩. প্রত্যেকদিন চিন্তা ফিকিরের সাথে মৃত্যুকে ২০ বার স্মরণ করতে থাকা।
৪. اللهم بارك لى فى الموت وفيما بعد الموت
(আল্লাহুম্মা বারিক লী ফিল মাউতি ওয়া ফীমা বা'দাল মাউত) এই দোয়া দৈনিক ২৫ বার পাঠ করা।
৫. সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত সকাল-বিকাল আমল করতে থাকা। সেইসাথে أعوذ بالله السميع العليم من الشيطان الرجيم-ও পড়া, তবে মাঝখানে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়তে হবে না।
৬. যখন অসুস্থ হবে তখন দোয়া ইউনুস ৪০ বার পড়া।
৭. এবং নিচের দোয়াটিও পাঠ করা,
"اللهم إني أشهدُك أنك أنت الله الذي لا إله إلا أنت وحدك لا شريك لك وأن محمدا عبدك ورسولك"
(ফাতওয়া শামী,খ. ১)
এ ছাড়া আরও বিভিন্নভাবে শাহাদাতের মাউত হয়। অন্য কোনোদিন সবিস্তারে আলোচনা করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
আরএম/