ইবরাহিম শওকত: আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত পরিষদ বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানীর আফতাব নগরে ২ দিনব্যাপী ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহাসম্মেলনে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশে দেশ-বিদেশের বিখ্যাত উলামায়ে কেরামরা ওয়াজ-নসিহত পেশ করেন।
সম্মেলনের প্রথম দিন প্রধান অতিথি হিসেবে বয়ান দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান মুফতি আল্লামা মুফতি হাবিবুর রহমান খায়রাবাদী। এদিন আরও বয়ান করেন, খতিবুল হিন্দ আল্লামা সালমান বিজনূরী, জামিয়া মাদানিয়া যাত্রবাড়ির মুহতামিম মুহিউসসুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান, আকবর কমপ্লেক্স মিরপুরের মুহতামিম মুফতি দেলাওয়ার হুসাইন, জামিয়াতুল আবরার মুহাম্মদপুরের শাইখুল হাদিস আল্লামা মুফতি মনসূরুল হক, জামিয়া তালীমিয়া ঢাকার মুহতামিম মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী কুয়াকাটা।
দ্বিতীয়দিনের সম্মেলনে বয়ান করেন দারুল উলুম দেওবন্দের সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতি হাবিবুর রহমান আজমী, ইসলামি ফেকহ বোর্ড ইন্ডিয়ার সেক্রেটারি আল্লামা ওবায়দুল্লাহ আসআদী, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত পরিষদ বাংলাদেশের সহ-সভাপতি আল্লামা মুফতি ফয়জুল করীম কাসেমী।
এদিন আরও বয়ান করেন- আহলে সু্ন্নাত ওয়াল জামাআত পরিষদ বাংলাদেশের সেক্রেটারি মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ, জামিয়া কারীমিয়া আরাবিয়া রামপুরার মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ, জামিয়া কারীমিয়া আরাবিয়া রামপুরার মুহতামিম আল্লামা মকবুল হোসাইন, জামিল মাদরাসা বগুড়ার মুহাদ্দিস মাওলানা মুফতি শফী কাসেমী,মারকাযুত তাকওয়া ইসলামিক রিচার্স সেন্টারের মুহতামিম মুফতি হাবীবুর রহমান মিছবাহসহ প্রমুখ।
আমীরুল মুমিনীন বালিকা মাদরাসার মুহতামিম ও জামিয়া কারীমিয়া আরাবিয়া রামপুরার মুহাদ্দিস মুফতি ফরিদুল ইসলম ও ইসলামী দাওয়াহ সংস্থা বাংলাদেশের সহ-আহবায়ক ও জামিয়া করীমিয়া আরাবিয়া রামপুরার মুহাদ্দিস মুফতি হোসাইন আহমদ জাবেরের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত পরিষদ বাংলাদেশের সহ-সভাপতি আল্লামা মুফতি ফয়জুল করীম কাসেমী।
প্রধান অতিথির বয়ানে তিনি বলেন, ইদানিংকালে বাংলাদেশের ইসলামি আকাশে যে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকিদার সমস্ত ওলামায়ে কেরাম এবং অনুসারীরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই তাহলে হয়তো বা সে দিন বেশি দূরে নয়, যে দিন এ আহলে সুন্নাতের আলোচনা চরে গিয়ে করতে হবে ময়দানে করা যাবে না। কাজেই দেওবন্দের অনুসারী যারা, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অনুসারী যারা আমি তাদেরকে অনুরোধ করবো, সবাইকে একই স্টেজে এসে হুংকার করতে হবে, আন্দোলন করতে হবে।
তিনি বলেন, কাদিয়ানীদের এ দেশের মুসলমান কাফের জানে। সরকার ঘোষণা না করলেও কাদিয়ানী কাফের। সরকার ঘোষণা করুক বা নাই করুক কাদিয়ানীরা কাফের। গোটা দুনিয়ার সমস্ত মুমীন জানে কাদিয়ানীরা কাফের। আমরা চাই যেন সরকারিভাবে এই ঘোষণা আসুক, যেন ধোঁকা দিতে না পারে। মুসলিম জামাআত বলে ধোঁকা দিতে না পারে বিধায়ই আমরা সরকারকে আহবান করবো কাদিয়ানীদেরকে সরকারিভাবে কাফের ঘোষণা করুন।
আরএম/