আওয়ার ইসলাম: শীতের শুরুতে ও শীতের শেষে ঠাণ্ডা-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। অনেক সময় দেখা যায় ঠাণ্ডা লেগে গলায় ব্যথা হয়ে ঢোক গিলতে সমস্যা হয়। সর্দি-কাশির ভাইরাসগুলোই টনসিলের সংক্রমণের জন্য দায়ী। টনসিল আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি অংশ। মুখ, নাক, গলা কিংবা সাইমাস হয়ে রোগজীবাণু অন্ত্রে বা পেটে ঢুকতে বাধা দেয় এই টনসিল।
ঠাণ্ডা লাগা, শারীরিক ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগে এক গ্লাস হলুদ-দুধ হতে পারে প্রাকৃতিক সমাধান। আসুন জেনে নিন হলুদমিশ্রিত দুধের উপকারিতা-
ঠাণ্ডা লাগা দূর করে: হলুদে থাকা অ্যান্টি-ভাইরাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান দূর করে ঠাণ্ডা লাগা। গরম গরম হলুদমিশ্রিত দুধ সর্দি ও গলা ব্যথা উপশম করে।
বাতের ব্যথা দূর করে: বাতের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে হলুদ-দুধ। এছাড়া মাংসপেশির নমনীয়তাও বাড়ায় এটি।
রক্ত পরিশোধন করে: হলুদমিশ্রিত দুধের আয়ুর্বেদিক উপাদান প্রাকৃতিকভাবে রক্ত পরিশোধনে সহায়তা করে। রক্ত সঞ্চালনেও সাহায্য করে হলুদ-দুধ।
লিভার সুস্থ রাখে: নিয়মিত হলুদমিশ্রিত দুধ পান করলে সুস্থ থাকে লিভার।
হাড় শক্তিশালী করে: হলুদমিশ্রিত দুধে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
হজম শক্তি বাড়ায়: হলুদমিশ্রিত দুধ অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর পানীয়। হজমের গণ্ডগোল দূর করে দ্রুত হজমে সহায়তা করে এটি।
ওজন কমায়
গরম গরম হলুদমিশ্রিত দুধ ওজন কমাতে পারে। এটি দেহের অতিরিক্ত চর্বি দূর করে। এছাড়া ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য উপাদান শরীরকে রাখে সুস্থ ও কর্মক্ষম।
শারীরিক ব্যথা কমায়: বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ব্যথার প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে হলুদমিশ্রিত দুধ।
ঘুমের সমস্যা দূর করে: ইনসমনিয়া অথবা ঘুমের সমস্যা দূর করে হলুদমিশ্রিত দুধ।
হলুদমিশ্রিত দুধ তৈরিতে যা যা লাগবে: কাঁচা হলুদ- এক ইঞ্চি (টুকরা করা), দুধ- ২২০ মিলি, চিনি অথবা মধু- স্বাদ মতো, গোলমরিচ গুঁড়া- এক চিমটি।
যেভাবে প্রস্তুত করবেন: একটি পাত্রে হলুদ কুচি ও দুধ একসঙ্গে ফুটান। চুলা থেকে নামিয়ে ঢেকে রাখুন কিছুক্ষণ। গরম থাকতে থাকতেই ছেঁকে মধু অথবা চিনি মিশিয়ে নিন। গোলমরিচ গুঁড়া ছিটিয়ে পরিবেশন করুন হলুদমিশ্রিত দুধ। চাইলে কাঁচা হলুদের বদলে হলুদ গুঁড়া মিশিয়েও বানাতে পারেন হলুদমিশ্রিত দুধ।
-এএ