আওয়ার ইসলাম: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের আওয়ামী লীগের এত জনসমর্থন, সেখানে আরও বেশি ভোট আশা করেছিলাম। আওয়ামী লীগের যে পার্সেন্টেজ সেই তুলনায় তো উপস্থিতি আশানুরূপ নয়। ভোটের রাজনীতির প্রতি মানুষের অনীহা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মূল্যায়ন করার জন্য আমরা ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং করবো। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে এলে এই মিটিং হবে। সেখানে নির্বাচন নিয়ে বীক্ষণ-পরিবীক্ষণ, আমাদের অবজারবেশন, পর্যবেক্ষণ নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করবো। এ রকমই চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। নেত্রীর সঙ্গে আমার পরশু দিন ফোনে যখন কথা হয়, তিনি আমাকে বলেছিলেন ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং করা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা সিটি নির্বাচনের সময় দুই-তিনদিন ছুটি থাকার কারণেও অনেকে চলে গেছেন। পরীক্ষার জন্য অনেকের বাচ্চা-কাচ্চা আছেন দেশে। হয়তো গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। পরিবহন সংকটও কিছুটা দায়ী। তারপরও আমি মনে করি, একটা ভালো নির্বাচন হয়েছে। বর্তমানের ভুলগুলো ভবিষ্যতের ইলেকশনে পুনরাবৃত্তিগুলো এড়ানো যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যে অবস্থায় নির্বাচন করেছে তাদের পার্টির মূল নেতৃত্ব নেই। আমার মনে হয় তারা ভালো করেছে। বিএনপির যে পারফরমেন্স তারা এই ভোটের মধ্যেও তাদের ভোট সংখ্যা একেবারে কম নয়। অনেক ভোট পেয়েছে। সেই দিক থেকে বিরোধীদল হিসেবে তারা ভোটে একেবারে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে এমন নয়। তারা ভালো ভোট পেয়েছেন। এটা গণতন্ত্রের জন্যই ভালো।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুই সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নতুন অভিজ্ঞতা। প্রায়োগিক বাস্তবতায় কিছু ভুলত্রুটি থাকতে পারে। যারা ভোট দিয়েছেন, তাদের অনেকের প্রতিক্রিয়া খুব সহজে ভোট দিতে পেরেছেন। এত বড় এলাকা নতুন যেহেতু, দু’ একটি জায়গায় ভুলত্রুটি হয়েছে।
-এএ