আওয়ার ইসলাম: সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হলো তিন দিনব্যাপী হেগরা কনফারেন্স ২০২০। ঐতিহাসিক এ সম্মেলনের মূল আকর্ষণ ছিল নোবেলজয়ী ১৮ ব্যক্তির অংশগ্রহণ।
সৌদি আরবের সামাজিক ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও মানবজীবনে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার হুমকি ইস্যু প্রাধান্য পায় এই সম্মেলনে।
সৌদির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আলুলায় অনুষ্ঠিত এ সম্মেলন গত শুক্রবার শুরু হয়। দ্য রয়্যাল কমিশন ফর আলুলিয়া এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলনে ১৯৮৩ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী পোল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট লেচ ওয়ালেসা, ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনুসসহ পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য, অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী ১৮ জন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
পোল্যান্ডের সাবেক রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে বলেন, বিভাজনের ফলে মানবতা অনেকাংশে হারিয়ে গেছে। আমাদের এই প্রজন্মের উচিত পুরাতন প্রথা, বাধা ও সীমানা ভেঙে দেয়া। তবেই না তারা সমৃদ্ধ উপভোগ করতে পারবে এবং অপেক্ষাকৃত জ্ঞানী হতে পারবে।
ড. মুহম্মদ ইউনুসের বক্তব্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়টি উঠে আসে। তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আশীর্বাদও হতে পারে অথবা অভিশাপ। তবে এ বিষয়ে আমার মন্তব্য হলো এটা খুব দ্রুতই অভিশাপের দিকে এগোচ্ছে।
নোবেলজয়ী মেক্সিকান রসায়নবিদ মারিও জে মোলিনা তার বক্তব্যে বলেন, আমারা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে পারি। এটা ১.৫ ডিগ্রি হলে আরও ভালো হয়। কিন্ত এটা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জের। আমরা যদি এখনই তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয়ে পদক্ষেপ না নিই, তাহলে এই তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি বেড়ে যেতে পারে।
জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কমিয়ে দেয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন এই রসায়নবিদ।-
-এএ