বেলায়েত হুসাইন ।।
মসজিদে কুবায় নামাজ আদায়ের জন্য পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ আসেন। মদিনায় অবস্থিত এটি ইসলাম ধর্মের সর্বপ্রথম মসজিদ। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্মৃতি বিজড়িত মসজিদে কুবায় এক মুহূর্ত ইবাদত করা অনেক বড় সৌভাগ্যের বিষয় মনে করেন মুসলিম উম্মাহ।
এজন্য বছরব্যাপী এই মসজিদটি মুসল্লিদের সমাগমে মুখরিত থাকে। কিন্তু সপ্তাহের শনিবারের চিত্রটা এর একটু ব্যতিক্রম। এদিন মানুষের ভীড় অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে যায়, লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে ঐতিহাসিক এই মসজিদটি।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সপ্তাহের প্রথম দিন প্রতি শনিবার পদব্রজে কিংবা বাহনে চড়ে মসজিদে কুবা জিয়ারতে আসতেন। উম্মতে মুহাম্মাদি প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণে তাই এই দিনে মসজিদে কুবায় আগমন করেন। তাসবিহ তাহলিল নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে তারা হাজির হন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিজ হাতে তৈরি প্রাচীন এই মসজিদে।
কুরআনে কারিমে মুসজিদে কুবার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আলোচিত হয়েছে, মহান আল্লাহ বলেন,'তুমি কখনো সেখানে দাঁড়াবে না, তবে যে মসজিদের ভিত্তি রাখা হয়েছে তাকওয়ার উপর প্রথম দিন থেকে, সেটিই তোমার দাঁড়াবার যোগ্য স্থান। সেখানে রয়েছে এমন লোক, যারা পবিত্রতাকে ভালবাসে। আর আল্লাহ পবিত্র লোকদের ভালবাসেন। ( সূরা তাওবাহ-আয়াত : ১০৮)
হাদিস শরিফে মসজিদে কুবায় ইবাদত করার বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে,আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, যে ঘর থেকে পবিত্র হয়ে মসজিদে কুবায় আগমন করবে এবং এখানে নামাজ আদায় করবে সে ওমরাহর সওয়াব লাভ করবে। ( সহিহ তিরমিজি) হাদিস বিশারদগণ লিখেন,দুই রাকাত কিংবা এর চেয়ে বেশি যেকোনো নামাজ আদায়ের মাধ্যমে এই বিরাট পূণ্য অর্জন করা যাবে, ফরজ বা নফল তা যাই হোক।
আরএম/