আল আমিন (বাপ্পি)
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি>
সবুজের আলোমাখা মাঠে কৃষকের হাসি ফুটে। হৃদয়ের কথা বলে সবুজের মাঠ। ফসলের মায়া আর মনের ছায়ায় মাধুরী মিশিয়ে শৈল্পিক আচড় জাগায় কৃষক। তেমনই শিল্পী আব্দুল কাদির তার সবুজের মাঠে মানের মত করে লিখেছেন তার নাম। সবুজ ফসলের নমুনায় নিজের নাম লেখা ক্ষেতে বিমুহিত হয়েছে সবাই।
শীতের এই মৌসুমে সবজি চাষ করতে হিড়িক পড়ে গ্রামের কৃষকদের,আর সেই সময় গ্রামের দৃশ্যটি হয় চোখে পড়ার মতো,যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ, আর সেই সময় শহর থেকে মানুষ ছুটে আসে গ্রামে, উপভোগ করে গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
সবজি চাষ করা খেতটি যদি হয় কোন চোখজোড়ানো সাজানো গোছানো কোন ফুলের বাগানের মতো, তাহলেতো কোন কথাই নেই। ঠিক তেমনি একটি সুন্দর গ্রাম ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত ঈশ্বরগঞ্জ থানাধীন আঠারবাড়ি ইউনিয়ন। যার মাঝখান দিয়ে বয়েগেছে কাচাঁমাটিয়া নদী, নদীর পাশঘেষে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সবজি খেত।
আর এই আঠারবড়ির একজন পরিশ্রমী কৃষকের নাম আব্দুল কাদীর, কাচাঁমাটিয়া নদীর পাশেই পাড়াখালবলা তার গ্রাম,কৃষক আব্দুল কাদীর,নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাড়াখালবলা কাচাঁমাটিয়া নদীর পাশেই তৈরী করেছেন তেমনি একটি মনোমুগ্ধকর সবজি খেত, যাতে তিনি শীত মৌসুমের বিভিন্ন সবজি দ্বারা আকর্ষণীয় করে সাজিয়েছেন।
কৃষক আব্দুল কাদীর আওয়ার ইসলামকে বলেন, অনেক দিন ধরেই আমার ইচ্ছা ছিলো, সুন্দর করে সাজিয়ে একটি সবজি খেত চাষ করবো,আল্লাহর অশেষ রহমতে এবার করতে পেরেছি, তিনি বলেন আমার ইচ্ছা মানুষ দুরদুরান্ত থেকে এসে এই সবজি খেতটিকে উপভোগ করুক।
আমি খেতটিকে সরিষা, মিষ্টি লাউয় এবং শীতের সবজি দ্বারা সাজিয়েছি,আর যারাই আমার সবজি খেত দেখতে আসে,সবাইকে আমি তাজা টমেটো ও গুলমরিচ উপহার দেই।
আব্দুল কাদীর আরো বলেন, আমি সবজি খেতের চার কোনায় চারটি লাভ এবং মাঝখানে একটি ভিত্ত একে এর ভিতরে আমার নাম লিখেছি। এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা একজন কৃষক হয়ে এমন সুন্দর একটি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আব্দুল কাদীরের প্রতিবেশী মো. মামুন মিঁয়া বলেন, এই সবজি খেতটিকে দেখতে প্রতিদিন বিকেলে মানুষের ভিড় জমে, কেউ খেতটিকে নিজের ফোনে ক্যামেরাবন্দি করেন,আবার কেউ কেউ সেল্ফিও তুলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সবজি খেতটির প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
-এটি