শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ইউটিউবে যার কুরআন তেলাওয়াত সবচেয়ে বেশি শোনা হয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মদ ।।

কুরআনের অমর পাখি কারি শায়খ আবদুল বাসেত বিন আবদুস সামাদ মিসরি রহ.।  আজ থেকে প্রায় তিন দশক আগে তিনি কুরআনের এক মজলিসে মৃত্যুবরণ করেন। অথচ এখনও আধুনিক যুগের কারিদের মতো সমান জনপ্রিয়। ইউটিউবে দেখা কুরআন তেলাওয়াতের শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছেন তিনি।  তার একেকটি তেলাওয়াত ১ লাখ থেকে ৮০ লাখ পর্যন্ত দেখা হয়েছে।

কারি আব্দুল বাসিত ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে মোতাবেক ১৩৪৬ হিজরিতে মিশরের ‘কেনা' অঞ্চলের ‘আর মানত' শহরের মরয়েজা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আলহাজ আবদুস ছামাদ।

শৈশবে গ্রামের শায়খুল আমির পাঠশালায় কুরআনের বিশুদ্ধ তেলাওয়া শেখেন। অধ্যয়নকালেই তিনি কুরআনের বিশুদ্ধ তেলাওয়াত, ইবতেদা ওয়াক্কফ এবং শব্দ উচ্চারণস্থলে নিয়ন্ত্রণের সূক্ষ্মতায় অত্যন্ত পারঙ্গম।

তার সাধনা ও শিক্ষকদের ভালবাসা ও আত্মবিশ্বাসই তাকে কেরাতের নান্দনিকতায় পৌঁছতে অনুপ্রাণিত করে। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তিনি সকলের নিকট পরিচিত হয়ে ওঠেন।

তিনি শায়খ মুহাম্মদ আমিরের কাছে কুরআন হিফজ করেন। শায়খ মুতকিন মুহাম্মদ সালিম হাম্মাদাহ-এর নিকট ইলমুল কিরাতের দীক্ষা নেন।  ১৯৫১ সালে তিনি মিসরের জাতীয় কেরাত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশে বিদেশে সাড়া ফেলে দেন। ১৯৫২ সালে মিসরের বিখ্যাত ইমাম শাফেয়ি রহ. মসজিদের কারি হিসেবে নিয়োগ পান এবং ১৯৫৮ সালে এ মসজিদের ইমাম মনোনীত হন।

এরপর দেশে বিদেশে কুরআনের কারি হিসেবে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ১৯৬২ ও ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন।  কথিত আছে তার যাদুময়ী স্নিগ্ধ, জ্যোতির্ময় সুরের মূর্ছনায় পবিত্র ইসলাম ধর্মে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন কয়েক ডজন আমেরিকান।

মরক্কোর বাদশা মুহাম্মদ আল খাশিস তাকে কায়রো ছেড়ে মরক্কোয় স্থায়ীভাবে চলে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ১৯৫৬ সালে সিরিয়া ‘বেসামুল ইসতেহকাক' পদকে ভূষিত করেন।

লেবাননের প্রেসিডেন্ট তাঁকে ‘বেসামুল আরয' পদক দিয়ে সম্মানিত করেছেন। মালয়েশিয়া সরকার ১৯৫৬ সালে রাজধানী কুয়ালালামপুরে এক বড়মসজিদ উদ্বোধনের সময় তাকে ‘বিসামে জাহবি' পদকে ভূষিত করেন।

কুরআনের অমর এ কারি ৩০ নভেম্বর ১৯৮৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৯০ সালে তার মৃত্যুর পর লায়লাতুল ক্বদরের সময় মিশরীয় প্রেসিডেন্ট সুরের রাজা আব্দুল বাসিতকে ‘ইসমুশ শেখ' পদকে ভূষিত করেন।

কারি আবদুল বাসিতের এ তেলাওয়াত দেখেছেন ৮০.৮ মিলিয়ন মানুষ

আরেএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ