পীর মাওলানা জুলফিকার আহমদ নকশবন্দী।।
মৃত্যুর সময় আমরা অনেক সময় বড় ধরণের ভুল করে থাকি। অধিকাংশ লোক মৃত্যুর সময় মুমূর্ষ ব্যক্তিকে জোর করে কালিমা পড়ানোর চেষ্টা করে। এটা করা ঠিক নয় বরং তাকে কালিমা মনে করিয়ে দিতে পারবে, এর চেয়ে বেশি না।
আরো যে ভুলটি আমরা করি, যখন মৃত্যু ঘনিয়ে আসে, আমরা ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে তাদের সামনে এনে বলি, দেখেন তো একে চিনতে পারেন কি না? এটা আবদুল্লাহ, এটা সালিম, এটা আয়েশা..., অথচ তখন তার আল্লাহর ডাক এসে যায়, সে সময় তার কালিমা পড়ার সময়।
নারীরাও মুমূর্ষ ব্যাক্তির কাছে এসে ভীড় জমায়, আর বলতে থাকে আমাকে চিনেন? আরে ভাই তার মৃত্যুর সময় চলে আসছে, তার এখন দুনিয়া থেকে যাওয়ার সময়, তাকে একটু শান্তিতে যেতে দেয়া দরকার। আর আমরা কী করি- কাকে চিনে, কাকে চিনে না- প্রতিযোগিতা শুরু করে দেই।
আর যারা হাসপাতালে থাকে, ডাক্তাররা অনেক সময় শেষ মুমূর্তে যেনো কষ্ট না হয়, সেজন্য রোগীকে বেহুশ করে ফেলেন। অথচ শেষ সময় তার কাছে দুনিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। সে সময়ে তার আল্লাহকে ডাকা দরকার। আর কালিমা পড়া দরকার। আর তখন সে বেহুশ থাকে। একজন মুসলিমের জন্য এটা বড়ই দুর্ভাগ্যজনক কাজ। এটা একজন মুসলিমের মৃত্যু, কোনো কাফেরের মৃত্যু নয়।
একজন মুসলিমের উপর যদি মৃত্যুর সময় কষ্টও আপতিত হয়, আল্লাহ তার গুনাহ মাপ করে দেন। দুনিয়ায় কষ্ট দিয়ে আখেরাতে নাজাতও দিতে পারেন তিনি। তার মুখ থেকে কালিমা নসিব করবেন এমনও হতে পারে। তাই কোনো মুসলিমকে মৃত্যুর সময় বেহুশ করা ঠিক নয়।
আরেকটি ভুল আমরা করি, মৃত্যুর আগে আমরা মুমূর্ষ ব্যাক্তির নাম ধরে বলতে থাকি, হে আবদুল্লাহ হে উমুক হে চাচা, মামা , খালু ! কালিমা পড়ুন, কালিমা পড়ুন। অথচ, আমরা জানি না তখন তার কি অবস্থা চলছে!
এজন্য শরিয়ত বলছে, মৃত্যুর সময় মুমূর্ষ ব্যক্তির কাছে বসে আস্তে আস্তে কালিমা পড়। এটাকে তালকিন বলে। হতে পারে তোমার কালিমা পড়া শুনে সে কালিমা পড়ে নিবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে কালিমা পড়ে, আল্লাহকে রাজি খুশি করে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
মেসেজ টিভি থেকে আবদুল্লাহ তামিমের অনুবাদ
-এটি