আওয়ার ইসলাম: পেঁয়াজের কেজি ৫৫ টাকার বেশি বিক্রি করলেই বিক্রেতাকে জরিমানা করা হবে বলে ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দিয়েছেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত ফাতিমা শশী।
একই সঙ্গে পেঁয়াজের দাম বেশি রাখায় অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ইউএনও। এ সময় অতিরিক্ত পেঁয়াজ মজুত রাখায় দুই ব্যবসায়ীর গুদাম সিলগালা করে দেন তিনি।
অভিযান শেষে শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের ডেকে চুনারুঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও নুসরাত ফাতিমা শশী বলেন, পেঁয়াজের কেজি ৫৫ টাকার বেশি রাখলেই জরিমানা করা হবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আপনারা পেঁয়াজের দাম ৫৫ টাকার বেশি রাখতে পারবেন না।
পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখার হুঁশিয়ারি দিয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের ইউএনও বলেন, কোনো অবস্থায়ই ৫৫ টাকার বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করবেন না, করলে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। প্রতিটি দোকানে পেঁয়াজের মূল্যতালিকা টাঙাতে হবে, পেঁয়াজ ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদ সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো ক্রেতার সঙ্গে কোনোভাবেই প্রতারণা করা যাবে না। পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্যবৃদ্ধি করলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেব না।
ইউএনওর হুঁশিয়ারিতে পেঁয়াজের কেজি ৫৫ টাকা কার্যকরের জন্য একদিনের সময় নেন ব্যবসায়ী নেতারা। কারণ হিসেবে ইউএনওকে তারা বলেছেন, বেশি দামে পেঁয়াজ কেনা আছে এবং মজুত রয়েছে। এসব পেঁয়াজ বিক্রি শেষ হলেই ৫৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করব আমরা।
উপজেলা ভূমি অফিসের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল সালাম তালুকদার, সেক্রেটারি মাসুদ আহম্মেদ, ক্যাব চুনারুঘাট উপজেলা সেক্রেটারি সাংবাদিক মনিরুজ্জামান তাহের ও মুদি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আজগর আলী প্রমুখ।
এর আগে চুনারুঘাট বাজারে অভিযান চালান ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত ফাতিমা শশী। এ সময় পেঁয়াজ কেনার রসিদ না থাকা এবং নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় স্বপন স্টোরকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ মজুত রাখায় স্বপনের গুদাম ও এবং সোহেলের গুদাম সিলগালা করে দেয়া হয়।
আরএম/