আওয়ার ইসলাম: বর্তমানে অনেকেই অ্যাকুরিয়ামে মাছ পালন, খাঁচায় পাখি পোষেণ। এখনকার সময়ে এটি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না এ বিষয়ে ইসলামের হুকুম কি।
সৌর্ন্দয্য বর্ধনে বা শখের বশে বাসা কিংবা অফিসে অ্যাকুরিয়ামে মাছ পালন, খাঁচায় পাখি পোষা ইসলামি শরিয়তে নিষেধ নয়। সাহাবায়ে কেরামও সৌখিনতা ও শখের বশে বিভিন্ন বৈধ প্রাণী পুষেছেন বলে বিভিন্ন কিতাবে বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে সেসবের প্রয়োজনীয় পরিচর্যা প্রয়োজন। যেমন: নিয়মিত খাবার দেয়া, পানি বদলে দেয়া, রোদ কিংবা তাপে তারা যেন কষ্ট না পায়, সেটা নিশ্চিত করা।
হজরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে প্রিয় ছিল আমার এক ভাই, তার নাম আবু উমায়ের। আমার মনে আছে, সে যখন এমন শিশু যে মায়ের বুকের দুধ ছেড়েছে মাত্র। হজরত রাসূলুল্লাহ সা. তার কাছে আসতেন এবং বলতেন, হে আবু উমায়ের! কি করেছে তোমার নুগায়ের? নুগায়ের হলো- এমন একটি ছোট পাখি, যার সঙ্গে আবু উমায়ের খেলা করতো। নুগায়ের মারা গিয়েছিলো। নবী করিম সা. তাকে নুগায়েরের জন্য চিন্তিত দেখলেন এবং তার সঙ্গে খেলা করলেন। -সহিহ বোখারি: ৬২০৩
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, সাহাবায়ে কেরাম রাসুল সা.-কে জিজ্ঞাসা করেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! জীবজন্তুর জন্যও কী আমাদের পুরস্কার দেওয়া হবে? রাসুল সা. বলেন, হ্যাঁ, প্রত্যেক দয়ার্দ্র হৃদয়ের অধিকারীদের জন্য পুরস্কার রয়েছে।’ বুখারি, হাদিস নং : ২৩৬৩
আর যথাযথভাবে খাদ্য প্রদান, পরিচর্যা ও যত্ন না নিতে পারলে এসব পালন ও পোষা জায়েজ হবে না। এ বিষয়ে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, এক মহিলাকে একটি বিড়ালের জন্য শাস্তি দেয়া হয়েছে। সে তাকে বেঁধে রেখেছিল এবং অবশেষে সে মারা গিয়েছিল, পরিণতিতে মহিলা তারই কারণে জাহান্নামে প্রবেশ করল। সে যখন তাকে বেঁধে রেখেছিল, তখন তাকে আহার ও পানি দিত না এবং তাকে ছেড়েও দিত না যে, সে কীট-পতঙ্গ ধরে খাবে। -সহিহ বোখারি: ২৩৬৫
-এএ