আওয়ার ইসলাম: বাবরি মসজিদ ইস্যুতে আগামী ১৭ নভেম্বর ভারতের সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে আগত রায়কে নিয়ে পুরো দেশজুড়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। সকল ধর্মের মানুষ অপেক্ষা করছেন দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দীর্ঘ সময় ধরে চলা আসা এ মামলার রায় শোনার জন্য!
সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে রায় যাদের পক্ষেই আসুক না কেনো, দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থতি কোনভাবোই যেনো খারাপ না হয়। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট চলতি মাসেই বাবরি মসজিদ মামলার রায় দিতে পারে। বিতর্কিত এই মামলার রায় নিয়ে দলীয় নেতাদের সতর্কবার্তা দিয়েছে বিজেপি। ওই মামলার রায় নিয়ে 'অবিবেচক ও উস্কানিমূলক' মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ বিষয়ে দল ও শাখা সংগঠনের নেতাদের সতর্ক করেছে দলটি।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বৈঠকে আচরণবিধির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বাবরি মসজিদ মামলার রায়ের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ কথা না বলা পর্যন্ত তাদের কেউ কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না।
জানা গেছে, গত সোমবার দিল্লিতে বিজেপি কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডা দলের সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই আচরণবিধির কথা পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, কলকাতা, বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইতে বৈঠক করে দেশের সব প্রান্তের দলীয় কর্মকর্তাদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গ্রামে গ্রামে করা হয়েছে হিন্দু-মুসলিম শান্তি কমিটি এবং শান্তি কমিটির সদস্যরাও সভা করে যাচ্ছেন। যেন নতুন করে হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে কোন দাঙ্গা না শুরু হয়।
এদিকে রায়কে কেন্দ্র করে দেশে কোন ধরনের আইনশৃংখলা পরিস্থতি যেন খারাপ না হয় এজন্য দারুল উলুম দেওবন্দের সাহায্যও চেয়েছে বিজেপি সরকার।
বৈঠকে সাহারানপুর পুলিশের এএসপি দিনেশ কুমার প্রভু বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় যে পক্ষেরই আসুক না কেনো দেশের শান্তি শৃঙ্খলা যেনো কোনভাবেই খারাপ না হয় এজন্য আমরা আপনাদের সাহায্য একান্তভাবে কামনা করছি।
অতপর দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতী আবুল কাসেম নোমানী এ এসপি কে আশ্বাস দিয়ে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে কেন্দ্র করে কোনভাবেই যেনো দেশের পরিস্থিতি খারাপ না হয় সে ব্যাপারে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ্।
এদিকে, নয়া দিল্লিতে বাবরি ও অযোধ্যার সম্পত্তির বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দ কার্যালয়ে মুসলিম দলগুলির বৈঠকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
বৈঠকে তাদের প্রাথমিক প্রস্তাবটি ছিলো বাবরি মসজিদ পুনরুদ্ধারের পুনর্নির্মাণের কথা উল্লেখ করা হোক বা না হোক আমাদের মূল বিষয় লাক্ষ্য রাখতে হবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। সরকারের রায় মেনে ঠাণ্ডা মাথায় আমাদের খেলতে হবে।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, দেওবন্দ মিডিয়া, মিল্লাত টাইমস
আরএম/