আওয়ার ইসলাম: শ্রীনগরের ডেপুটি কমিশনারকে চিঠিতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা মুফতি লিখেছেন, তার মায়ের কোনো ক্ষতি হলে তার জন্য দায়ী থাকবে সরকার।। ইলতিজার চাওয়া, উপত্যকার প্রবল শীতে তার মাকে যেন অন্যত্র সরানো হয়।
মঙ্গলবার মেহবুবার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এই চিঠির কথা জানিয়েছেন ইলতিজা।
সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা হতেই বন্দি হন জম্মু-কাশ্মিরের প্রায় ৪০০ রাজনৈতিক নেতা। জম্মুতে ধাপে ধাপে কয়েকজন নেতাকে ছাড়া হলেও উপত্যকার হেভিওয়েটরা এখনো বন্দিই।
ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, পিপলস কনফারেন্সের ৩১ জন নেতাকে এত দিন রাখা হয়েছে ইন্ডিয়ান ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের (আইটিডিসি) হোটেলে। আর পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির ঠাঁই হয়েছে চশম-এ-শাহি এলাকার এক সরকারি গেস্ট হাউসে। ইলতিজা মনে করছেন, ওই জায়গা প্রবল শীত মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত নয়।
মঙ্গলবার মায়ের টুইটার হ্যান্ডল ব্যবহার করে ইলতিজা লেখেন, ‘আমি আমার মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। বারবার সে কথা জানিয়েছি সরকারি কর্তৃপক্ষকে। আমি শ্রীনগরের ডেপুটি কমিশনারকে লিখেছি, শীত জাঁকিয়ে বসার আগেই মাকে যেন অন্যত্র সরানো হয়। মায়ের কিছু হলে ভারত সরকার দায়ী থাকবে।’
ইলতিজা ওই টুইটে মায়ের প্রেসক্রিপশনের ছবিও পোস্ট করেন।
মেহবুবা কন্যা আরো লিখেন, ‘আমার মায়ের ভিটামিন ডি, হিমোগ্লোবিন, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে। এ অবস্থায় তাকে যে জায়গায় রাখা হয়েছে তা তার শরীরের পক্ষে উপযুক্ত নয়। আমি আশা করি সরকার এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।’
গত ৫ আগস্ট থেকে জেলবন্দি আছেন মেহবুবাসহ কাশ্মিরের অন্য নেতারা। সরকারের পক্ষ থেকে খরচ বাঁচাতে উপত্যকার অন্য রাজনৈতিক নেতাদের অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা হয়েছে। এই মুহূর্তে ওমর আবদুল্লাহকে নেহরু গেস্ট হাউসে রাখা হয়েছে। ফারুক আবদুল্লাহ জনসুরক্ষা আইনে নিজের বাড়িতেই বন্দি। আর মুফতি রয়েছেন চশম-এ-শাহিতে। সরকারি সূত্রের খবর, তাদের অন্যত্র সরানোর কোনো পরিকল্পনাই নেই।
আরএম/