আওয়ার ইসলাম: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচন বয়কট করলেও তার আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদলগুলোর দাবি, এই নির্বাচন ‘অগণতান্ত্রিক’।
এছাড়া অনেক ভারতপন্থী নেতাকর্মীসহ সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রীকে এখনও আটক রাখা হয়েছে। তারপর স্থানীয় নির্বাচন করা হয়।
কাশ্মীরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানকার শত শত নেতাকর্মীকে। স্থানীয় কাশ্মীরী রাজনীতিবিদরা এই সময়ে নির্বাচন আয়োজনের সমালোচনা করছেন।
শেহলা রশিদ নামে তরুণ এক রাজনীতিবিদ চলতি মাসেই নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়ে বলেনÑ তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচনে অংশ নিয়ে একে ‘বৈধ’ বানাতে চান না। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে ২৬ হাজার ৬২৯ টি গ্রাম পরিষদের প্রধানরা ৩১০টি আসনে ভোট দেবেন।
কাশ্মীরের মোট জনসংখ্যা ৭০ লাখ। তবে ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিপল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও পিপলস কনফারেন্সের মতো দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। ফলে ৬০ শতাংশ গ্রাম পরিষদের আসন ফাঁকা রয়ে গেছে।
অনেক গ্রাম্য নেতাই সরকারের সরবরাহকৃত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আশ্রয় নিয়েছে। তাদের আশঙ্কা যেকোন সময় সশস্ত্র হামলা হতে পারে।
আসিয়া নামে ৩৪ বছর বয়সী এক নারী বলেন, সবাই ভয়ে আছি। আমি তিন সন্তান নিয়ে হোটেলে উঠেছি। অনন্তনাগের সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য গোলাম আহমেদ মীর বলেন, বিজেপি এই অঞ্চল ধ্বংস করে দিচ্ছে। বেশিরভাগ নেতা যেখানে বন্দী সেখানে এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, এই নির্বাচন বিজেপির জন্য, বিজেপি দ্বারা পরিচালিত ও বিজেপির নির্বাচন। এখানে কোন গণতন্ত্র নেই। সূত্র: এনডিটিভি
-এটি