আওয়ার ইসলাম: ইতিহাস, সৌন্দর্য আর মাধুর্যের প্রতীক পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত বাদশাহী মসজিদ। ইসলামি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
লাল বেলেপাথর আর সাদা মার্বেল পাথরের এ মসজিদ ভারত, মধ্য এশিয়া এবং গ্রিক স্থাপত্য শৈলীর সমন্বয়ে নির্মিত।
মোগল সাম্রাজ্যের অন্যতম প্রতীক এ মসজিদ ৩ শ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বে সবচেয়ে বড় মসজিদ হিসেবে পরিগণিত ছিল। এখনো এটি পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম মসজিদ।
এক লাখ মুসল্লি একসাথে সালাত আদায় করতে পারেন এখানে। সম্রাট আওরঙ্গজেব ১৬৭১ সালে এ মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু করেন। ১৬৭৩ সালে শেষ হয় নির্মাণকাজ। শুধু মসজিদের বিশাল শাহানের ওপর একসাথে সালাত আদায় করতে পারে ৬০ হাজার মুসল্লি।
মসজিদের চারদিকে চারটি সুদৃশ্য মিনার, বিশাল শাহান, মূল মসজিদের ওপর মার্বেল পাথরের তিনটি সুদৃশ্য গম্বুজ, মসজিদের সামনে ও পাশে দুর্গ ও বিশাল খোলা পার্ক এ মসজিদের সৌন্দর্যের অংশ। তাজমহলের গম্বুজের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এ মসজিদের গম্বুজ আর মিনার।
মসজিদের ভিত একতলা ভবনের চেয়েও বেশি উঁচু। শুরুতে ১০ মাইল দূর থেকে দেখা যেত এ মসজিদটি। মসজিদের প্রবেশ প্রান্তে বা পূর্ব দিকে বিশাল লাহোর দুর্গ আর হাজার বছরেরও বেশি পুরনো দেয়ালঘেরা শহর।
মসজিদ সংলগ্ন লাহোর দুর্গের মধ্যে খোলা পার্ক, স্থাপনা, আলমগীরি গেট এবং মসজিদের প্রায় তিনদিক ঘেরা বিশাল পার্ক মসজিদের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে আরো। মসজিদের চারদিকের বিশাল খোলা ময়দানকে পরে ইকবাল পার্ক নামকরণ করা হয়। সে হিসেবে মসজিদটি বর্তমানে ইকবাল পার্কে অবস্থিত। মসজিদের প্রবেশ পথের পাশেই রয়েছে কবি ইকবালের মাজার।
গত ৩ শ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বে নির্মিত অনেক মসজিদের অনুকরণ করা হয়েছে এ মসজিদের স্থাপত্য শৈলী। বিশেষ করে এ মসজিদের গম্বুজ, আর্চ, দেয়াল এর স্থাপত্য শৈলী অনুকরণ করা হয়েছে অনেক বড় বড় ব্যয়বহুল রাজকীয় মসজিদে।
তবে নির্মাণের পর থেকে দীর্ঘকাল ধরে শিখ শাসনামলে এ মসজিদটি আস্তাবল ও ব্রিটিশ শাসনামলে সামরিক সরঞ্জামাদি রাখা ও ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। সূত্র: উইকিপিডিয়া