রকিব মুহাম্মদ ।।
উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দেশ উত্তর কোরিয়া। ১৯৪৮ সালে সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পৃথক হয়ে যায়। কমিউনিস্ট শাসিত এ রাষ্ট্রে ধর্ম পালনে রয়েছে কড়া বিধি-নিষেধ।
উত্তর কোরিয়ায় কয়েক হাজার মুসলিম রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। উত্তর কোরিয়ার স্থানীয় মুসলিমদের কোনো মসজিদ নেই। তবে কয়েক বছর পূর্বে ইরান উত্তর কোরিয়ায় আর রহমান নামে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে। ২০১০ সালে ইরানি দূতাবাসের সীমানায় নির্মাণ করা হয় উত্তর কোরিয়ার প্রথম ও একমাত্র মসজিদটি।
অন্যান্য মুসলিম দেশের দূতাবাসে নামাজের জায়গা থাকলেও পৃথক কোনো ভবন নেই। তাই ধরে নেওয়া হয়- আর রহমান মসজিদই উত্তর কোরিয়ার একমাত্র মসজিদ।
সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে
সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে প্রায় ২০ হাজার মুসলমানের বাস৷ কিন্তু মসজিদ আছে মাত্র একটি৷ তাই নামাজ পড়ার জন্য অস্থায়ী ব্যবস্থা করতে হচ্ছে মুসল্লিদের৷ ১৫৭৫ সালে বেলগ্রেড যখন অটোমান তুর্কি সাম্রাজ্যের অংশ ছিল৷ বাজরাকলি নামের একমাত্র ঐ মসজিদটি তখন নির্মাণ করা হয়।
ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলের একমাত্র মসজিদ “নুর”
এই মসজিদটি ১৮৭০ সালে ভারতীয় মুসলমানেরা নির্মাণ করেন। তখন একদল ভারতীয় মুসলমান ব্যবসার জন্য ভিয়েতনামে সফর করেন এবং এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। এই মসজিদটি ভারতের অন্যান্য মসজিদের অনুরূপে নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদটিতে একটি গম্বুজ এবং বড় দরজা ও মিনার রয়েছে।
ইউরোপের দেশ আর্মেনিয়ায় ‘একমাত্র’ মসজিদ
দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের দেশ আর্মেনিয়ার বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ রাষ্ট্রের মধ্যে অন্যতম। ৩০ লাখ লোকের বসবাস এখানে। এই দেশটিই পৃথিবীতে সর্বপ্রথম খ্রিষ্টান ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে গ্রহণ করে। এই খ্রিষ্টান দেশটিতে মুসলিমদের সংখ্যা মাত্র ৩ হাজার। আর পুরো আর্মেনিয়াজুড়ে রয়েছে একটি মাত্র মসজিদ, যেটিকে বলা হয়; নীল মসজিদ।
আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে অবস্থিত মসজিদটি নির্মিত হয় ১৭৬৪-৬৮ সালের মধ্যে। ইরানের শাসক নাদির শাহের আমলে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।
আরএম/