শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা

আল আকসা আসলে কোনটি, ইতিহাস কী বলে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বেলায়েত হুসাইন ♦

ইসলামের প্রথম কিবলা আল আকসা এবং তার সন্নিকটেই নির্মিত ইসলামি স্থাপত্যের সর্বপ্রাচীন নমুনা মসজিদে কুব্বাতুস সাখরা নিয়ে মানুষের কৌতুহলের অন্ত নেই; তাদের প্রশ্ন আল আকসা আসলে কোনটি?

মিডিয়ায়-পত্রপত্রিকায় সোনালী গম্বুজ বিশিষ্ট কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) দেখিয়ে অধিকাংশ সময় আল আকসার পরিচয় দেয়া হয়। আবার লোকমুখে একথাও আজ প্রতিষ্ঠা পেতে যাচ্ছে যে, সোনালী গম্বুজের ওই মসজিদটি আসলে আল আকসা নয়; বরং মুসলমানদের প্রথম কিবলা থেকে মানুষের ভক্তি ও ভালবাসা উঠিয়ে নিতে বিধর্মী বা হলুদ মিডিয়া এই চক্রান্ত করে চলছে।

তবে আমরা যদি আল আকসা নির্মাণের সূচনা ইতিহাস জানি, তাহলে আমাদের অন্তরে সন্দেহের আর কোন অবকাশ থাকবেনা যে, আল আকসা আসলে কোনটি?

সর্ববৃহৎ আরবি ইসলামি ওয়েবসাইট ‘আল মাউজু ও উইকিপিডিয়া’ এর তথ্যানুযায়ী আমরা এর সমাধান বের করার চেষ্টা করবো ইনআশাল্লাহ!

প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ আল্লামা ইবনে তাহমিয়া রহ.-এর মতে, আসলে আল্লাহর নবি হযরত সুলায়মান আ.-এর তৈরি সম্পূর্ণ ইবাদত স্থলটির নামই হল মসজিদুল আকসা।

আর মুহাদ্দিসগণও (হাদিস বিষয়ে পণ্ডিত) এই বিষয়ে একমত যে, সম্পূর্ণ ইবাদত স্থলটিই ইসলামের নবী হযরত সুলাইমান আ. তৈরি করেছিলেন। পরবর্তীতে এটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।মুসলমানরা বিশ্বাস করে, নির্মাণের পর থেকে এটি ঈসা আ. সহ অনেক নবীর দ্বারা এক আল্লাহকে উপাসনার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে।

এই স্থান মুসলিমদের প্রথম কিবলা (প্রার্থনার দিক)। হিজরতের পর কুরআনে কারিমের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণে পবিত্র কাবা শরিফ নতুন কিবলা হয়।

আর আল-আকসা মসজিদ বলতে বোঝাায় কিবলি মসজিদ, মারওয়ানি মসজিদ (কুব্বাতুস সাখরা) ও বুরাক মসজিদ (৩টির) এর সমন্বয় যা জেরুসালেমের ‘হারাম আল শরীফ’ এর চার দেয়াল এর মধ্যেই অবস্থিত।

তবে মূল আল আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো,ধূসর সীসার প্লেট দ্বারা আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা স্থাপনাটি।

আর আল আকসা নামে অধিক প্রসিদ্ধ সোনালী গম্বুজ বিশিষ্ট স্থাপনার নাম মসজিদে কুব্বাতুস সাখরা। তবে এটিকে আল আকসা বললেও সমস্যা নেই ; কারণ,মসজিদটি ‘হারাম আল শরীফ’এর চৌহদ্দিতেই অবস্থিত।

আল আকসা স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করায় একাধিকবার দখলদার বাহিনী কতৃক গ্রেফতার হওয়া জেরুসালেমে বসবাসরত যুবক আমরো রাজির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে-তিনি বলেন, আসলে আল আকসা প্রাঙ্গণটা অনেক বিস্তৃত,যা একীভূত করেছে পবিত্র তিন মসজিদকে।

সোনালী গম্বুজের কুব্বাতুস সাখরায় সাধারণত নারীরা নামাজ আদায় করেন। আর আল আকসা বলতে সম্পূর্ণ চৌহদ্দিকেই আমরা জানি-যার ইসলামী পারিভাষিক নাম ‘পবিত্র হারাম’। তবে এখানের মূল মসজিদ হচ্ছে,ধূসর রঙে রঙিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি।

কুব্বাতুস সাখরার ইতিহাস

এই মসজিদটি ডোম অব দ্য রক বলেও পরিচিত। এটি জেরুসালেমের পুরনো শহরের টেম্পল মাউন্টের উপর অবস্থিত একটি গম্বুজ। উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের আদেশে ৬৯১ সালে এর নির্মাণ সমাপ্ত হয়।

এজন্য এটিকে মারওয়ানি মসজিদও বলা হয়।বর্তমানে এটি ইসলামী স্থাপত্যের সর্বপ্রাচীন নমুনা।এটিকে ‘সমগ্র ফিলিস্তিন’-এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থান বলে উল্লেখ করা হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেরাজের রাতে এই স্থান থেকে মহাকাশ গমন করেন। এজন্য ধর্মীয় দিক দিয়ে স্থানটির আলাদা মর্যাদা রয়েছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ