জাবির মাহমুদ ।।
মাওলানা আবুল হাসান আলী নদভী রহ. ছিলেন ইতিহাস বনে যাওয়া ইনসানদের একজন। সমকালের স্মরণীয় এক মনীষা। কর্মবীর। রাহবার। শায়েখ। আত্মশুদ্ধির সটান কাঠামোর মিনারা। প্রভাষক ও শিল্পিত বাচিক। লেখক ও সাহিত্যিক। আরবের কূল ছাপিয়ে বহির্বিশ্বেও যার সুনামের ডঙ্কা বেজেছিলো একদা। ইলম ও তাহকিকে পরিতৃপ্ত হয়েছিলো গোটা দেশ, বিশ্ব- হচ্ছেও। যার কিতাবাদি ও লেখনির দ্বারা উপকৃত আজও সমগ্র পৃথিবী। রব্বে কারীম যার ভেতরে একত্র করছিলেন সমূহ কল্যান, পরিপূর্ণতা।
তার ব্যাপারে মাওলানা নূর আমিন খলীলী সাহেবের মূল্যায়নটি স্মরণযোগ্য- "তার সমগ্র জীবনের প্রতি পক্ষীয় দৃষ্টি প্রসারিত করলে এই বিষয়টিই মূত হয়ে ওঠে দু'চোখে- রব্বে কারিমের এক বিশেষ সৃষ্টি তিনি। এবং মিল্লাত ও উম্মাতের অবস্থাদি, ঘটনাসমূহ ও জীবন জিজ্ঞাসার শরঈ সমাধানে তার চিন্তা ও জীবনের প্রতিফলিত কর্ম, ইলম ও কলমের অবিরাম ছুটে চলাই তার প্রতিনিধিত্ব করে। এবং হুকুম পালনে তার দৃঢ়চিত্ততাও এখানটাতে ছিলো প্রাসঙ্গিক।" -(পাস মার্গ জিন্দাহ্: ৫২৫)
মাওলানা রাবে হাসনীর চোখে মিঁয়া নদভীর গুণ: রব্বে কারীম তাকে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন একটি অন্তর প্রদান করেছিলেন। যাতে প্রত্যেকের জন্যই উপর্যুক্ত মূল্যায়ন ও যথার্থ মোহাব্বত সন্নিবেশিত ছিলো। মেজাজের ভারসাম্যতা এবং বিস্তৃতি, চিন্তা ও চেতনা ছিলো তার প্রশংসিত। মুরশিদে উম্মাত মাওলানা রাবে হাসনী বলেন, মাওলানা রহ.-এর ব্যক্তিত্বে দুটি গুণ অবশ্যল্লেখ্য ছিলো-
১. পর্যাপ্ত পরিমাণ আত্মিক প্রশস্ততা।
২. অন্যের আত্মপীড়ন থেকে বিরত থাকা।
তিনি দীন ও মিল্লাতের বিনির্মাণে অংশীদার সকলের জন্যই অন্তরে জায়গা রাখতেন। শর্তব্য, তাদের কাজ দীন ও মিল্লাতের ভিত্তিমূল পরিমাণ এবং স্বীকৃত মূলনীতির সীমায়ই গন্ডিবদ্ধ থাকতে হবে। -(মাওলানা সায়্যিদ আবুল হাসান আলী নদভী আহাদ সাজ শখসিয়্যাত: ৭)
দেওবন্দের পরিচালনা পর্ষদে মিঁয়া নদভী: দারুল উলূম দেওবন্দের সাথে মাওলানা সায়্যিদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ. এর ব্যক্তিত্বের সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত ও সুদৃঢ় ছিলো। দেওবন্দের নির্মাণ ও উন্নতির জন্য তিনি তার চিন্তা ও দূরদর্শিতা এবং মুখ ও কলমকে ব্যবহার করেছেন। তিনি ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দ থেকে দারুল উলূম দেওবন্দের পরিচালনা পর্ষদের স্থায়ী সদস্য ছিলেন। ওই ঐতিহাসিক সময়ের মধ্য থেকে আমরা শুধু এই ব্যাপারটিকেই সংক্ষিপ্তাকারে আলোকায়ন করবো, হযরত আলী মিঁয়া নদভী রহ. এর সাথে দারুল উলূম দেওবন্দের সম্পর্ক কতটা দৃঢ়তাসম্পন্ন ছিলো। এবং তিনি দারুল উলূম দেওবন্দের উচ্চমার্গীয় ইজ্জতী খেদমতের জন্য কতোটা পরিচিত ছিলেন।
আলী নদভীর ভাষণে দারুল উলূম: মিঁয়া নদভী রহ. দারুল উলূম দেওবন্দের শততম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। দারুল উলূম দেওবন্দ কেবলমাত্র একটি বিদ্যাপিঠই নয়! যাকে হিন্দুস্তানী আযহার বলাও সর্বোতভাবে বৈধ। এবং কোনো কোনো দৃষ্টিকোণ বা নীতিগত দিক থেকে দেওবন্দকে আযহারের উপরই প্রতিষ্ঠিত বলা যায়।
শুদ্ধবিশ্বাস এবং কিতাব (কুরআন) ও সুন্নাতের এক ঐতিহাসিক বিস্তৃতির নাম দারুল উলূম দেওবন্দ। দেওবন্দ প্রকৃতার্থে বংশীয় ও যোগ্য ব্যক্তিদের উর্বর কর্মফলেরই দৃশ্যত প্রতিচ্ছবি ও ধারাবাহিকতার নাম।
দারুল উলূম দেওবন্দ সর্বোতভাবেই তার শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আয়োজনের উপযুক্ত ছিলো। যাতে তার সেবা ও ফতোয়ায় স্বীকৃতি নেয়া হবে। এবং তার ইতিহাসকে শুধু দেশের জন্যই নয় বরং সমগ্র মিল্লাতেই সম্মুখেই পেশ করা হবে। -(কারওয়ানে জিন্দেগী : ২/৩০০)
দেওবন্দ পরিচিতি ও দেওবন্দিয়্যাতের বৈশিষ্ট্য চতুষ্টয়: হযরত আবুল হাসান আলী নদভী রহ. দারুল উলূমের শততম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় নিজের চিন্তাপ্রসূত ভাষণে দেওবন্দের বৈশিষ্ট্য ও দেওবন্দিয়্যাতের হাকিকত বর্ণনা করতে গিয়ে দেওবন্দের কতিপয় বৈশিষ্ট্যবলির বর্ণনা দিয়েছিলেন-
প্রথম বৈশিষ্ট্য: দেওবন্দ সমস্ত মতোবিরোধপূর্ণ মাসয়ালার ক্ষেত্রে তাওহীদ ও সুন্নাতের দিকেই দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছে। এবং এটা এমন উত্তরাধিকার ও আমানত যা তার কাছে শাহ্ ওয়লিউল্লাহ দেহলভী রহ., শাহ্ ইসমাঈল শহীদ রহ. এবং শাহ সায়্যিদ আহমাদ শহীদ রহ. এর অসিলায় অর্জিত হয়েছে। এমনকি এখনো পর্যন্ত পন্থাটা তার কাছে প্রিয়।
দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য: সুন্নাত অনুসরণের আগ্রহ এবং চিন্তা। তৃতীয় বৈশিষ্ট্য: আল্লাহর সাথে মুহাব্বত, জিকির, ঈমান ও ইহতিসাবের প্রতি আগ্রহ। চতুর্থ বৈশিষ্ট্য: আল্লাহর কালিমা বুলন্দ করার আগ্রহ ও চেষ্টা এবং দীনি আত্মমার্যাদাবোধ। এ বৈশিষ্ট্যচতুষ্টয়ই দেওবন্দি বিবেচনার মানদন্ড। এরচে' কম বৈশিষ্ট্যমন্ডিত হলে সে দেওবন্দি বলে বিবেচিত হবে না। দারুল উলূমের ফুজালায়ে কেরামগণই এই ভিত্তি নিরূপণ করেছেন। এবং এই ভিত্তিমূলেই ওই চারটি বৈশিষ্ট্যের সন্নিবেশ থাকবে। -(কারওয়ানে জিন্দেগী: ২/৩১০)
আলী মিঁয়া নদভীর চোখে দেওবন্দ: বয়ানের এক জয়গায় মিঁয়া নদভী রহ. বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি খুবই ছোট্ট পরিসরে সূচিত হয়েছে যার কোনো গুরুত্বই ছিলো না। কিন্তু তার দায়িত্বশীল ও আসাতিজায়ে কেরামের নিষ্ঠা, অল্পেতুষ্টি আর পরমতসহিষ্ণুতার সুবাদে দ্রুতই প্রতিষ্ঠানটি শিকড় থেকে শিখরে উন্নিত হচ্ছিলো। এমনকি প্রতিষ্ঠানটি ইসলামী ইউনিভার্সিটির রূপ পরিগ্রহ করে। শুধু তা-ই নয়, বরং এশিয়ার মধ্যে সবচে' বড়ো দীনি দরসগাহ হিসেবে নিরূপিত হয়।
হিন্দুস্তানী মুসলমানদের দীনি জীবনের উপর দারুল উলূমের ফাজেলদের আত্মশুদ্ধির প্রচেষ্টা ও রক্ত ঘাম করা মেহনতের ছাপ স্পষ্ট। বিদয়াত ও প্রচলিত ভ্রান্তির অপনোদন, বিশ্বাসের সংশোধন-শুদ্ধি, দীনের দাওয়াত এবং ভ্রান্ত আকীদা ও মতবাদদুষ্টদের সাথে বিতর্ক ইত্যাদির বিরুদ্ধে তাদের আপসহীন দৃঢ়চেতা অবস্থান উপযুক্ত সুষমায় ভাস্বর। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ফাজেল রাজনৈতিক ময়দান ছিলেন সক্রিয়। দেশাত্ববোধের তাড়নায় প্রিয়ভূমির সুরক্ষার জন্য ধারাবাহিক অবদানী পথে তাদের কদম ছিলো অবিচল। এবং সত্যভাষণে ছিলেন পূর্ববর্তী উলামায়ে কেরামদের স্মারক। -(মাদারেসে ইসলামিয়্যাহ্ কা মাকাম আওর কাম : ১৯)
মিঁয়া নদভীর দেওবন্দ যাত্রা যেভাবে: হযরত আলী মিঁয়া রহ. নিজের ব্যাপারে বলেন, আমাদের ঘরে নদওয়া এবং দেওবন্দের কোনো উত্তরাধিকারীই ছিলো না! যখন আব্বাজান শুরুতেই নদওয়ার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গেলেন এবং তাকে একজন বড়ো দায়ী মনে করা হতো। কিন্তু যখন ভাই সাহেব নদওয়ার শিক্ষা সমাপন করেন, আব্বাজান তখন শাইখুল হিন্দ রহ. এবং আনওয়ার শাহ্ কাশ্মীরী রহ. এর কাছে তাকে হাদিস পড়ার জন্য দেওবন্দ পাঠান। সেখানে তিনি নিয়মতান্তিক পাঠ গ্রহণ করেন এবং সনদও নেন। অনুরূপভাবে ভাই সাহেবও আমাকে নদওয়ার পাঠ সমাপনের পর দেওবন্দে মাওলানা মাদানির কাছে পাঠান। -(মাজালিসে হাসানাহ: ১৭১)
ছাত্র মিঁয়া নদভীর চোখে উস্তাদ মাদানি: ১৯৭২ সালের ১২ আগস্ট রাতে দারুল উলূম দেওবন্দের প্রশস্ত হলে আয়োজিত সভায় আলী মিঁয়া রহ. উপস্থিতিদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, রব্বে কারিমের দরবারে মস্তকাবনত কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি যে, যে লোকটি এককালে দারুল উলূমে ছাত্ররূপে উপস্থিত হয়েছিলো। এবং বিষয়টিকে সে খুবই মর্যাদাজ্ঞান করতো। আজ তারই জনসম্মুকে সম্বোধন করে কথা বলার তাওফিক লাভ হয়েছে! আমি ওই মর্যাদা ও বিরল সম্মানের কথা কখনোই বিস্মৃত হবো না!
আমি এই সৌভাগ্য ও তাওফিকপ্রাপ্তির উপরও রব্বে কারিমের দরবারে মস্তকাবনত কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি, তিনি আমাকে শাইখুল ইসলাম হযরত মাওলানা হুসাইন আহমাদ মাদানি রহ. এর সম্মুখে একজন অনুগত ছাত্র হিসেবে বসবার মতো বিরল তাওফিক দান করেছেন। আমি বিষয়টিকে আমার আশাতীত সৌভাগ্যরূপেই জ্ঞান করি। এবং এর উপরই রব্বে পাকের দরবারে বড়ো আশা রাখি।
আমি এই বিষয়টির উপর যতো গর্বই করি না কেনো সেটা নগন্য, নস্যি। কিন্তু এরচে'ও হযরতের সান্যিদ্ধধন্য ইতিহাস দিগন্তছোঁয়া, বিস্তৃত। বহু দূর থেকেও হযরতের দরসগাহের সাথে আমার আত্মিক মেলবন্ধন ছিলো। এখানকার মাটি ও মানুষের বারিসিক্ত ছিলো তার নাম। যে কাফেলা তৈরি করে তিনি এই মায়ালোক ত্যাগ করেছেন, তাদের জাগরণ এবং অশ্রুসিক্ত রোনাজারিতে তিনি সুবাসিত হবেন, সর্বদাই। -(পাজা সুরাগে জিন্দেগী : ১২৫)
আব্দুল্লাহ আব্বাস নদভীর কলমে আলী মিঁয়া: দারুল উলূম দেওবন্দের সাথে হযরত মুফাক্কিরে ইসলাম রহ. এর সম্পর্ক থাকায় সেই সম্পর্কীয় কিছু বিষয় তার কিতাবাদি থেকেই নকল করা হয়েছে। সারকথা হলো, এটা এজন্যই, আল্লাহ তায়ালা তার ভেতরে এমন ঐক্যবদ্ধতা ও ঐকান্তিকতার সন্নিবেশ ঘটিয়েছিলেন, যার অনুভব এই হাল জামানায় পুনর্বার নতুনভাবে উপলব্ধ হবে। যে সময়ে সাধারণ থেকে সাধারণ ব্যাপারেও সংকীর্ণতা ও তাচ্ছিল্যের আচরণ করা হচ্ছে! মনে চায়, তার ব্যক্তিত্বের এমনতরো বিভা মাওলানা আব্দুল্লাহ আব্বাস নদভী রহ. এর কলমেই নকল করি; তিনি লিখেন- কোনো শাখা অথবা দলের মতোবিরোধী লোকদেরকে পার্টি বানানো বা অন্যকোনো পার্টিকে দমানোর জন্য অথবা কোনো ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য কারো বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া হয়; তাহলে এটা তো অনেক খারাপ বিষয়! কখনো ইঙ্গিতার্থেও এমন কোনো বিষয় তার কাছ কিংবা দূর থেকে সংঘটিত হওয়া; হযরতের মেজাজের বহু দূরবর্তী ব্যাপার ছিলো! -(মীরকারওয়া)
ইমামুল হারামাইন শায়েখ সালেহের ভাষ্যে দেওবন্দ: ইসলামি বিশ্বে দারুল উলূমের খেদমতের শান ও মান-মর্যাদার আলাপ স্বীকৃত। খোদ জামানাই যার বন্দনা করে যায়। বিশ্বের সব নামজাদা আলেম ফাজেলের কন্ঠে ঝরে যাদের স্তুতি, সর্বক্ষণ। যার একটা নমুনা; হারাম শরীফের ইমাম শায়েখ সালেহ মসজিদে রশিদের একটা প্রগ্রামে উপস্থিতিদেরকে সম্বোধন করে বলেছিলেন, দারুল উলূম দেওবন্দ শুধু হিন্দুস্তানেরই নয় বরং সমগ্র বিশ্বের জন্যই এক আলোর মিনার। দারুল উলূম দেওবন্দের উলামায়ে কেরাম এমন এমন কিছু খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন, যার গুঞ্জরণ দুনিয়ার কোণায় কোণায় পর্যন্ত পৌঁছেছে।
পরিশিষ্টের আবেদন: জবান ও কলমের সুব্যবহার, চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গির ভারসাম্যতা রব্বে কারিমের প্রদেয় অনেক বড়ো একটি নেয়ামত। এগুলোর মানদন্ডেই একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব নিরূপিত হয়। এইসব লোকেরাই তিরোধিত হবার পরও মানুষের দিলের উপর রাজত্ব করে যান, স্বমহিমায়। হযরত আলী মিঁয়া রহ. এর ব্যক্তিত্বপূর্ণ জীবনের গতরে ছিলো অগুণিত গুণের সন্নিবেশ ও এমনই এক গুণ যেটা মানুষের দিলকে আকর্ষণ করতো। এর তাদেরকে তার ইজ্জতের স্তুতিকার বানিয়ে দিতো। প্রত্যেক ইদারা ও জামিয়াই সম্মানের যোগ্য। এবং তাতে খেদমতের উপযুক্ত মানুষগুলোও সম্মানিত।
ইদারার সাথে সম্পর্কিত সংকীর্ণ দৃষ্টি থেকে অন্তর পবিত্র হওয়া চাই। যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা মনোনয়ন দিয়েছেন এবং যেই ইদারার ফয়েজ সরাসরি অথবা ভায়া হয়ে গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে। যার সন্তানেরা সারা দুনিয়ায় খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। তাদের পরিচিত করা উচিত। দেশ অথবা বিশ্বের যে কোনো দীনি প্রতিষ্ঠানকেই সংকীর্ণ নজরে দেখা বা নিচু মনে করা সম্পূর্ণই অনুচিত। বিশেষত আবুল হাসান রহ. এর বাগিচা থেকে ফয়েজপ্রাপ্তদের জন্য তো পয়গাম এটাই, তারা তাদের মেজাজকে মুফাক্কিরে ইসলামের মতো ভারসাম্যপূর্ণ মেজাজী করে তৈরি করবে। তার মতো চিন্তা-চেতনা দিয়ে দীনের শাখা ও মুসলিম মিল্লাতকে একীভূত করা এবং তাদের পারস্পারিক ঐক্যবদ্ধতাকে সুদৃঢ় রাখায় চেষ্টারত থাকবে।
মোনাজাত: রব্বে কারিমের শতকোটি রহমত বর্ষিত হোক হযরত মুফাক্কিরে ইসলাম রহ. এর কবরের উপর। এবং চিরসুখের জান্নাতে তার উচ্চাসন নসীব হোক।
আরএম/