আওয়ার ইসলাম: হযরত মাওলানা যুলফিকার আহমাদ নকশবন্দী তার এক বয়ানে বলেন, আমরা কতিপয় বন্ধু করাচি গেলাম। সেখানে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলাম। অনুষ্ঠানের শেষে এক আলেমের সঙ্গে সাক্ষাত হল। বন্ধুগণ আমার সামনে সেই আলেমের পরিচয় তুলে ধরল। তারা বলল, এ ব্যক্তি শুধু আলেমই নন, বরং কুরআনে কারিমের কম্পিউটারও বটে।
একজন হাফেজে কুরআন ও আলেমের পরিচয় দিতে গিয়ে তাকে কুরআনের কম্পিউটার’ বলাতে আমি অবাক হলাম।আমি মনে মনে তার কারণ অনুসন্ধান করছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে সেখানে বেশ কয়েকজন হাফেজ সাহেবের সমাগম হয়ে গেল তারা তাকে বিভিন্নভাবে তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করল। এবং বুঝতে পারল যে, কুরআন শরিফের কোথাও তার কোনাে অস্পষ্টতা, জড়তা নেই। তখন তাকে কুরআনের কম্পিউটার’ বলার যথার্থতা উপলব্ধি করতে পারলাম। |
‘কুরআনের কম্পিউটার এই হাফেজ সাহেবের পরীক্ষা নিতে গিয়ে একজন তাকে জিজ্ঞাসা করল, জনাব! বলুন তাে فتكون শব্দটি কুরআনে কোথায় কোথায় আছে? শােনা মাত্রই তিনি বলতে শুরু করলেন, অমুক পারায় অমুক রুকূর অমুক আয়াতে শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। দ্বিতীয় স্থান অমুক পারায় অমুক রুকুর অমুক আয়াতে শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। তারপর তৃতীয় স্থানে কোথায় শব্দটি আছে তাও সঠিকভাবে বলে যাচ্ছিলেন।
মােটকথা, কুরআন শরীফে তিন জায়গায় শব্দটি যেখানে যেখানে ব্যবহৃত হয়েছে, সে স্থানের পূর্ণ তথ্য দিলেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, কোন পারার কত নম্বর রুকূ এবং কত নম্বর আয়াতে শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে তা সবই বলে দিলেন। তার এ যােগ্যতা দেখে আমি তাে হতবাক হলাম। সবাই তার মেধার প্রখরতায় ও কুরআনি যােগ্যতায় হতভম্ব।
বাস্তবে না দেখলে বিশ্বাস করাই ছিল কঠিন। আমরাও তাকে কুরআনের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করলাম। প্রশ্ন করা মাত্রই তিনি উত্তর দিয়ে দিলেন। যত শব্দ সম্পর্কেই জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি তার সঠিক উত্তর দিয়ে দিলেন।
এটা আল্লাহ তাআলার কত বড় অনুগ্রহ যে, কুরআন শরিফ শুধু মুখস্তই নয় বরং কুরআন শরিফের কোন আয়াতে কোন কোন শব্দ আছে তাও হাফেজ সাহেবের স্মৃতিতে স্পষ্ট বিদ্যমান।।
-ওএএফ/আরএম