সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু চাঁদপুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহর সাফল্য বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত ফেনী সদর উপজেলায় জামায়াতের রুকন সম্মেলন শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ: ইন্ধনদাতাদের সতর্ক করলেন প্রেস সচিব

প্রবাসে মারা গেলে ৩ লাখ টাকা অনুদান পাবে পরিবার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বিভিন্ন দেশে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় কর্মস্থলেই প্রাণ হারান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাদের মরদেহ দেশে আনা নিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হয় পরিবারের সদস্যদের।

তবে সরকারিভাবেই এসব মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা রাখা আছে। মরদেহ পরিবহন ও দাফনের জন্য দেয়া হয় ৩৫ হাজার টাকা। এছাড়া মারা যাওয়া কর্মীর পরিবারকে ৩ লাখ টাকা অনুদান দেয় সরকার।

বিদেশের মাটিতে মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশি কর্মীর মরদেহ তার পরিবারের মতামত সাপেক্ষে দেশে আনার উদ্যোগ নেয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।

ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে মোট ৩ হাজার ৭৯৩ জন বাংলাদেশি কর্মীর মরদেহ দেশে আনা হয়েছে। এরমধ্যে বৈধ কর্মীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৭৬ জন। আর অবৈধভাবে কর্মরত কর্মীর সংখ্যা ১১৭ জন।

এর মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে এসেছে ৩ হাজার ৩৫৩ জনের মরদেহ। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে ৩৭৪ ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে এসেছে ৬৬ জনের মরদেহ।

এছাড়া, ২০১৭ সালে ৩ হাজার ৩৮৭জন, ২০১৬ সালে ৩ হাজার ৪৮১ এবং ২০১৫ সালে ২ হাজার ৮৩১ জনের মরদেশ দেশে আনা হয়।

প্রবাসী এসব কর্মীর বেশিরভাগেরই বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। অধিকাংশ মরদেহ আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মরদেহ এসেছে সৌদি আরব থেকে। তালিকায় সৌদি আরবের পরই রয়েছে মালয়েশিয়া।

জানা গেছে, বিদেশে অবস্থানরত অবস্থায় কেউ মারা গেলে মরদেহ দাফনের ব্যাপারে পরিবারের মতামত নেয়া হয়। পরিবার যদি সংশ্লিষ্ট দেশে দাফনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তাহলে সেদেশেই তাকে দাফনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আর যদি পরিবার মরদেহ দেশে দাফনের জন্য মতামত দেয় সেক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকেন।

যদি কারো মরদেহ দেশে পাঠাতে নিয়োগকর্তা খরচ বহনে অপারগতা প্রকাশ করে বা মৃতের পরিবার দেশে আনার খরচ বহনে অক্ষম হয় তাহলে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ তহবিলের অর্থায়নে মরদেহ দেশে আনা হয়।

এছাড়া অবৈধ ভাবে যাওয়া কর্মীদের মরদেহও দূতাবাসের মাধ্যমে দেশে আনার ব্যবস্থা করে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে মরদেহ পরিবহন ও দাফনের খরচ বহনের জন্য ৩৫ হাজার টাকার চেক দেয় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।

মরদেহ হস্তান্তরের পরই ৩ লাখ টাকা অনুদান দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। যারা ছুটিতে এসে দেশে মৃত্যুবরণ করেন তাদের পরিবারকেও এ অনুদান দেয়া হয়। তবে যারা অবৈধভাবে বিদেশে যান বা বিদেশে গিয়ে অবৈধ হয়ে যান তাদের পরিবারকে এ অনুদান দেয়া হয় না।

জানা গেছে, বর্তমানে বিশ্বের ১৬০টি দেশে এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী কর্মরত আছেন। দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন এসব প্রবাসীরা।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ