সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামকে মালদ্বীপে লালগালিচা অভ্যর্থনা মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করলে আমাদের জীবন আলোকিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা বর্তমানে ‘উলূমুল হাদিস’-এর প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশের মতো সম্প্রীতি আশপাশের দেশে খুঁজে পাবেন না: ধর্ম উপদেষ্টা ‘গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানো উম্মাহর আবশ্যিক দায়িত্ব’ নারী কমিশনের প্রস্তাবে পতিত স্বৈরতন্ত্রের সুযোগ: গাজী আতাউর বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভবনের স্বীকৃতি পেল মসজিদুল হারাম ‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর’ নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়: খেলাফত মজলিস সরাসরি ঢাকা-রিয়াদ ফ্লাইট চালু করল ইউএস-বাংলা

তুরস্ক ও পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগে 'খিলাফত আন্দোলন' নিয়ে চলচ্চিত্র

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ১৯২০ সালে ব্রিটিশ শাসিত ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের খিলাফত রক্ষার জন্য আন্দোলনকে নিয়ে তুরস্ক ও পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হবে।

‘বিয়ার উইটনেস’ বা তুর্কিতে ‘শাহিত অল’ নামের এই চলচ্চিত্রে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী তুরস্কের ওসমানীয় খিলাফতকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের ঐতিহাসিক খিলাফত আন্দোলন ও এই সময়ের উভয় অঞ্চলের মানুষের অবস্থাকে চিত্রিত করা হয়েছে। তুরস্ক ও পাকিস্তানের অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা এই চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করবেন।

চলচ্চিত্রটির কাহিনীকার ও পরিচালক তাহির মাহমুদ ১৪ই সেপ্টেম্বর, শনিবার করাচিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী অক্টোবর থেকে চলচ্চিত্রটির শুটিং শুরু হবে এবং আগামী বছর মার্চে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবে।

তাহির মাহমুদ বলেন, “চলচ্চিত্রটি পাকিস্তান আন্দোলনের নাম না জানা বীর, গাজী মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক এবং সাহসী তুর্কি জাতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তৈরি করা হচ্ছে।”

মূল চলচ্চিত্রটির সংলাপ উর্দুতে তৈরি করা হয়েছে। পরবর্তীতে তা তুর্কিতে ডাবিং করা হবে।

তাহির মাহমুদ বলেন, “এই চলচ্চিত্রটি পাকিস্তান ও তুরস্কের মানুষের মধ্যে এক শক্তিশালী বন্ধন তৈরির উৎস হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে তুর্কি দর্শকরা জানতে পারবে আমাদের পূর্বপুরুষরা তাদের তুর্কি ভাই-বোনদের সাহায্যের জন্য কি প্রচেষ্টা নিয়েছিল।”

মাহমুদ আশা করেন, এই চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়েই তুরস্কে পাকিস্তানি চলচ্চিত্র ও নাটকের স্থান অর্জনের পথ তৈরি হতে পারে।

চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করা পাকিস্তানী অভিনেতা কাভি খান জানান, পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যকার বন্ধন অন্য যেকোন জাতির তুলনায় শক্তিশালী।

তিনি বলেন, “এই প্রকল্প আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সেই বন্ধন সম্পর্কে জানাবে। আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, চলচ্চিত্রপ্রেমীদের প্রত্যাশার চেয়েও এটি জনপ্রিয় হবে।”

চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করা তুর্কি অভিনেতা মের্ত সিসমানলার বলেন, “পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধনকে চিত্রিত করা এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে পেরে আমি উদ্দীপ্ত।”

চলচ্চিত্রটির অন্যান্য চিত্রাভিনেতাদের মধ্যে ইমদাদ ইরফানি, ঘানা আলী, রাবিয়া কুলসুম সহ আরো অনেক তুর্কি ও পাকিস্তানি অভিনেতা-অভিনেত্রীরা রয়েছেন।


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ