সুফিয়ান ফারাবী
বিশেষ প্রতিবেদক
সদ্য মরহুম চট্টগ্রাম পটিয়া মাদ্রাসার তিন শিক্ষাবিদ মাওলানা কারী আবদুল গণি, মাওলানা, রাহমাতুল্লাহ, মাওলানা ইসমাইল আজিজ (রা) স্মরণে দোয়া ও স্বনামধন্য হাফেজ গড়ার কারিগর হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান হাফেজ ক্বারী মাওলানা আবদুল হক সাহেবের সংবর্ধনার আয়োজন করেছে কাতারস্থ আল নূর কালচারাল সেন্টার।
সংগঠনটির উপদেষ্টা মীর হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সংবর্ধিত অতিথি দাজ্জালের আগমন সম্পর্কিত বার্তা হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ করে দাজ্জালের ফাসাদ থেকে ইমান রক্ষার জন্য আলকুরআনের প্রতি যত্নবান হওয়ার তাগিদ দেন।
মরহুম তিন মনীষীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে তাঁদের অনবদ্য অবদান আমাদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
সম্প্রতি দোহার বিন যাইদ সেন্টারে প্রকৌশলী মনিরুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন আলনূর নির্বাহী পরিচালক মাওলানা ইউসুফ নূর, বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন আকন, এন আর বি বি এর সভাপতি শাহজাহান সাজু।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তিলাওয়াত করেন মাওলানা ফয়জুল্লাহ ইজহার। স্বাগত বক্তব্য দেন আলনূর শিক্ষা বিভাগীয় সহকারী মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান।
সংবর্ধিত অতিথিকে সম্মাননা প্রদান করেন আলনূর মহাপরিচালক প্রকৌশলী সোয়াইব কাশেম, পরিচালক অধ্যাপক আমিনুল হক ও পেয়ার মুহাম্মদ।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল জসিমউদ্দিন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কাতার চ্যাপ্টার সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও মাওলানা আবুবকর, মুফতি আহসানুল্লাহ, মাওলানা গোলাম রব্বানি ও প্রকৌশলী আলিমুদ্দিন প্রমুখ।
আন্তর্জাতিক হিফজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের স্মৃতি চারণ করে প্রধান অতিথি বলেন, ১৯৮৩ সালে আমি প্রথমবারের মত সৌদি আরবে কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নেই। তখন একজন সৌদি বিচারক বাংলাদেশীদের কুরআন তিলাওয়াতের মান নিয়ে আক্ষেপ করলে আমার জাতীয় মর্যাদাবোধ জেগে উঠে।
বাইতুল্লাহর সামনে মহান প্রভুর কাছে তাওফিক চেয়ে কাজে নেমে পড়লাম। তাঁরই অপার করুণায় ২০০০ সালে আমি সৌদি তে কুরআন প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত হই। এবার সেই সৌদি বিচারক বলেন, বাংলাদেশীরা অল্প সময়ের মধ্যেই কুরআন তিলাওয়াতের মানোন্নয়ন করে আমাদের বিস্মিত করেছে।
আজ বিশ্ব কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশীদের জয়জয়কার। তিনি সকলকে দলীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক সংকীর্ণতা পরিহার করে দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখার আহবান জানান।
-এটি