বেলায়েত হুসাইন: থোকায় থোকায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে সুমিষ্ট ফল আঙ্গুর। বিভিন্ন রঙ এবং জাতের বাহারি আঙ্গুর সামনে নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন দোকানী। নারী পুরুষ দর্শক-ক্রেতারা ঘুরেফিরে দেখছেন সুন্দর করে সাজানো আঙ্গুর-থোকা এবং আঙ্গুরের দোকানগুলো।
আঙ্গুরের সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনতে এবং প্রাচীন শহরের হারানো জৌলুশতা পুনরুদ্ধার করতে ফিলিস্তিনের খলিলে এভাবেই শুরু হয়েছে তিনদিন ব্যাপী ‘আঙ্গুর-উৎসব’।
গতকাল শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস অভিনব এ উৎসবের উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধনের আগে সূরা ফাতিহা পাঠ করা হয়।
ফিলিস্তিনি পণ্যের বিকাশকে প্রতিপাদ্য করে প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া এ উৎসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
উদ্বোধনীতে বক্তৃতাকালে বক্তরা এরূপ সৃজনশীল উৎসব আয়োজনের জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। বলেন, এর মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতি মজবুত হতে পারে।
প্রতি বছর যদি এটা চালু থাকে তাহলে আমরা দারুণ একটি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবো। আর তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে এ উৎসবের মাধ্যমে দেশপ্রেম এবং কর্মের প্রতি উৎসাহ জন্মাতে পারি।
উৎসবে বক্তৃতাকালে মন্ত্রী আল আতারী বলেন, এ মুহূর্তে প্রাচীন শহর খলিলে উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। পুরো খলিলে আজ আঙ্গুরের মেলা বসেছে-যা সংস্কৃতির সঙ্গে মিলিত হয়েছে। তিনি জানান, ফিলিস্তিন আঙ্গুর উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। খলিলে উৎপাদিত আঙ্গুরই
প্রতি বছর অন্তত ৫০ হাজার টন ছাড়িয়ে যায়। এবং ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে খলিলের আঙ্গুর রপ্তানি করা হয়। সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে আগামী সোমবার খলিলে অনুষ্ঠিতব্য এ আঙ্গুর উৎসব শেষ হবে।
সূত্র: আল-কুদস
-এটি