আওয়ার ইসলাম: রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কিনেছে তুরস্ক। এ নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে কম বিতর্ক হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো ঘোর বিরোধীতা করেছে; কিন্তু তুরস্ক পিছপা হয়নি। তবে এবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, তার দেশ এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে। এবং এজন্য তিনি নিজেই সরাসরি প্রস্তাব দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এরদোগান বলেছন, দুই সপ্তাহ আগে টেলিফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তিনি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র কেনার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। মাটি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধুনিক আবিষ্কারের একটি। আগামী সপ্তাহে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনের সময় দুই নেতার বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের সাথে বিস্তারিত কথা বলবেন বলে জানিয়েছে তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
এরদোগান বলেন, ‘আমি তাকে বলেছি আমরা এস-৪০০ কিনেছি সেটি কোন ব্যাপার নয়। এখন আপনার কাছ থেকে অনেকগুলো প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চাই। তবে আমি এও বলেছি যে, সেগুলো অবশ্যই এস-৪০০ এর সমমানের হতে হবে।
একই সাথে এই ক্ষেপণাস্ত্র যৌথভাবে উৎপাদন করার বিষয়েও তুরস্কের আগ্রহের কথা ট্রাম্পকে জানান এরদোগান।
গত জুলাইয়ে রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার চালান গ্রহণ করেছে তুরস্ক। আঙ্কারার পাশ্ববর্তী কয়েকটি বিমান ঘাঁটিতে সেগুলো মোতায়েন করা হচ্ছে। রাশিয়ার তৈরি এই সর্বাধূনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রথম ক্রেতা তুরস্ক। এ নিয়ে ওয়াশিংটনের সাথে আঙ্কার সম্পর্ক খুবই খারাপ হয়েছে গত দুই বছরে। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুদিন আগে বলেছেন, বারাক ওবামার সরকার তুরস্কের কাছে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করতে চায়নি, তাই তারা বাধ্য হয়ে রাশিয়ার দিকে ঝুঁকেছে।
তাহলে কি ট্রাম্প প্রশাসন আবার তুরস্ককে কাছে টানতে চায়? তারা বিক্রি করতে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছু দিন?
আরএম/