আওয়ার ইসলাম: মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্য করার দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল পেজ নিষিদ্ধ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। সম্প্রতি এক পোস্টে তিনি আসন্ন নির্বাচনে ইহুদি ভোটারদের প্রতি আরবদের গঠন করা সরকারের বিরোধিতা করার আহ্বান জানান। তার মতে, 'এই সরকার আমাদের নারী, পুরুষ ও শিশুদের ধ্বংস করতে চায়।'
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে দেওয়া এই পোস্টের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের সকল নীতি লঙ্ঘিত হয়েছে। তার এই মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্যের কারণে পেজটির অটোমেটিক চ্যাট ফাংশন পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য ডিজেবল করা হলো।
মার্কিন গণমাধ্যম 'দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টে'র খবরে বলা হয়, নেতানিয়াহু এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত কোনো পোস্ট লেখার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি স্থানীয় 'কান রেশেত বেত' রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমার একজন কর্মী ভুলবশত লেখাটি লিখে ফেলেছেন। যা আমি ভালোভাবে অবগত নই।'
দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের জন্য তিনি নিজ দলের পক্ষে জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন। যেখানে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে ইহুদি জাতীয়তাবাদীদের সর্বোচ্চ সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন ৬৯ বছর বয়সী এই প্রধানমন্ত্রী।
যার অংশ হিসেবে নেতানিয়াহু গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) আসন্ন নির্বাচনে জয়লাভ করলে অধিকৃত পশ্চিম তীরের অংশ জর্ডান উপত্যকা ও উত্তর মৃত সাগর (ডেড সি) দখল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'ইসরায়েলের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হলে আমার সরকার জর্ডান উপত্যকা দখল করবে। তাছাড়া পশ্চিম তীরবর্তী সকল এলাকায় নতুন করে আরও অনেক ইহুদি বসতি স্থাপন করা হবে। যদিও এর আগে বিষয়টি নিতে আমাদের সবচেয়ে বড় মিত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরামর্শও নেওয়া হবে।'
বিশ্লেষকদের মতে, এবারের নির্বাচনে নেতানিয়াহু নেতৃত্বাধীন লিকুদ পার্টির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হলো ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী গত ৯ এপ্রিলের নির্বাচনে এগিয়ে থাকলেও দেশটির সংসদ নেসেটে সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আসন না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তার আর জয়লাভ করা হয়নি।
-এটি