মুফতি আবদুল্লাহ তামিম ♦
জিন ও শয়তান মানুষের আদিকাল থেকে চির শত্রু। আদিকাল থেকেই মানুষের ক্ষতি করে আসছে এই দুই প্রজাতি।প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুইভাবেই এরা মানুষের উপর চড়াও হয়।
রাতের বেলা ভয় দেখানো, আছর করে রোগাক্রান্ত করা ছাড়াও মানুষের ইমান ও আমলে মারাত্মক রকম ত্রুটি ঢুকিয়ে দেয় জিন ও শয়তান। শয়তান তো সার্বক্ষণিক লিপ্তই থাকে মানুষকে বিপথে নিতে।
জিন ভূত এবং শয়তানের এমন অনিষ্ট ও কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় আল্লাহর রহমত, তার সুদৃষ্টি অর্জন।
হাদিসে এসেছ, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, রক্ত যেমনভাবে শিরার মধ্য দিয়ে প্রবাহমান ঠিক তেমনিভাবে শয়তান মানুষের মাঝে প্রবাহমান এবং আমার ভয় হল যে শয়তান হয়তো তোমাদের অন্তরে কোনো কুমন্ত্রণা দেবে, ফলে এ নিয়ে বিভিন্ন কথা উঠবে।’ (সহিহ বুখারি)
পৃথিবীতে জিন রয়েছে তিন ধরনের। এরমধ্যে একদল যারা সর্বদা আকাশে উড়ে বেড়ায়, আরেক দল যারা সাপ ও কুকুরের আকার ধারণ করে থাকে এবং তৃতীয় দল পৃথিবীবাসী যারা কোনো এক স্থানে বাস করে বা ঘুরে বেড়ায়। (বায়হাকি ও তাবরানি)
কুরআনি চিকিৎসায় আমরা বাঁচতে পারি জিন ও শয়তানের আক্রমণ থেকে।
ক) সূরা ফাতিহা, খ) আয়াতাল কুরসী, গ) সূরা বাক্বারার শেষের দুটি আয়াত, ঘ) সূরা ইখলাছ, ঙ) সূরা ফালাক, চ) সূরা নাস ইত্যাদি পাঠ করে জিনে ধরা ব্যক্তিকে ফুঁ দিবে। এরূপ তিনবার বা ততোধিকবার করবে।
-এটি