আবদুল্লাহ তামিম ♦
চীনের আলোচিত শিয়ান শহরে একটি মসজিদের দেয়ালে পুরো কুরআন শরিফ লেখা রয়েছে। মসজিদটি প্রাচীন হিসেবে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান।
জানা যায়, মসজিদটি ৭৬২ খ্রিস্টাব্দে টংকার রাজবংশের আমলে নির্মাণ করা হয়। পরে মিং রাজবংশের রাজত্বকালে পুনর্র্নিমাণ করা হয়। মসজিদটির দেয়াল ১২ হাজার বর্গ মিটারের, যেখানে পবিত্র কুরআনের সকল আয়াত লেখা রয়েছে।
শিয়ান মসজিদটি চীনা স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত। তবে ইসলামি ক্যালিগ্রাফি, আরবি বিভিন্ন অলংকরণ এঁকে আলাদা বৈশিষ্ট্য প্রদান করেছে। মসজিদের ভেতরে ও বাইরে চীনা ভাষায়ও কুরআন লেখা আছে।
মসজিদটিতে মিম্বর, মিহরাব, মূল নামাজের জায়গা, মিনার, দুই দিকে আইওয়ান আর মাঝখানে শান থাকে, এখানেও তার সব আছে। কিন্তু বাইরের রূপটা পুরোপুরি চৈনিক। শিয়ান শহরের মুসলমানদের ধর্মীয় বিষয়াদী এ মসজিদকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হয়। শিয়ান তথা গোটা উত্তর-পশ্চিম চীনের মুসলমানদের জীবনে এ মসজিদের লক্ষণীয় প্রভাব রয়েছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনের অন্যতম সংখ্যালঘু হলো মুসলমান সম্প্রদায়। চীনে বর্তমানে মুসলমানদের সংখ্যা ২ কোটি ৩০ লাখ। এ সংখ্যা অনেক আরব দেশের জনসংখ্যার চাইতে বেশি। এর প্রায় অর্ধেকেরই বসবাস জিনজিয়াং শহরে।
বর্তমানে চীনে মসজিদের সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি। এসব মসজিদে ইমামের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। এসব মসজিদে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন মিনার ও গম্বুজ।
চীনের ক্যান্টন নগরীতে প্রথম মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এই মসজিদটি ‘মেমোরিয়াল মসজিদ’ নামে পরিচিত। চীনে কয়েকজন সাহাবির কবরও রয়েছে। সূত্র: ইন্টারনেট
-এটি