আওয়ার ইসরাম: মিনায় বড় জামারায় পাথর নিক্ষেপের পর পশু কুরবানি এবং ফরজ তাওয়াফ সম্পন্ন করতে গিয়ে অনেক হাজী দিক ভুল করে এদিক সেদিক চলে গেছেন। হারিয়ে ফেলেছেন নিজের ঠিকানা অথবা সাথীদের। আর বিভিন্ন মাধ্যমের সহায়তা নিয়ে এসব হাজিরা আশ্রয় নিচ্ছেন মক্কা বাংলাদেশ হজ অফিসে।
রবিবার দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত হজ অফিসে অবস্থান করে দেখা যায় একের পর এক হারানো হাজি আসছেন এখানে। বাসস্থানের ঠিকানা অথবা সাথীদের না পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন তারা।
এসময় প্রশাসনিক দলের দলনেতা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী এবং হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশনের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম হারানো হাজীদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং খাবার সরবরাহ করছেন।
হারিয়ে যাওয়া হাজীদের অধিকাংশই বৃদ্ধ। তাদেরকে হজ মিশনের এম ফ্লোরে থাকা এবং খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ১৩আগস্ট থেকে হারানো হাজীদের সংখ্যা কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বেসরকারী এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, আমরা হারানো হাজীদের খাবারের ব্যবস্থা করছি। অসুস্থ হাজীদেরকে ক্লিনিকে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি যে সমস্ত সম্মানিত হাজীরা হারিয়েছেন তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির প্রতিনিধিদের ডেকে এনে তাদেরকে পৌছে দেয়ার কাজ করছে হাব।
এ বছর পবিত্র হজ পালন করতে এসে মক্কা, মদীনা, জেদ্দা, মিনা এবং আরাফাতে মারা গেছেন ৫১জন বাংলাদেশি হজযাত্রী। আগামী ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে হজের ফিরতি ফ্লাইট। এ বছর ১লাখ ২৭ হাজার ১৫২জন বাংলাদেশি হজ পালনের জন্য সৌদি আরব এসেছিলেন। -বিডি প্রতিদিন
আরএম/