বেলায়েত হুসাইন: আপনিও ঘুরে আসতে পারেন 'হাফ মুন বে' তে। সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় শহর দাম্মামের এই পর্যটন কেন্দ্রটি কমবেশি সবার পছন্দ। সাগরের নীলাভ পানির সঙ্গ ও সেখানে সাঁতারকাটার সুন্দর অনুভূতি শেষই হতে চায়না। এর সঙ্গে এখানে নতুন করে যুক্ত হয়েছে দেশটির সর্বপ্রথম আন্ডারওয়াটার জাদুঘর। সেখানে ডুব দিলেই অভিনব ও সৌন্দর্যময় দারুণ সব দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
সম্প্রতি পানির নিচের নতুন এই রাজ্য থেকে ঘুরে এসেছেন সৌদিয়ান ডুবুরি ও আলোকচিত্রী মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল হাম্মাদী। তার দেখা পানির নিচের কৃত্রিম 'মধ্যপ্রাচ্য'এর কথা জানিয়েছেন তিনি। বর্ণনা করেছেন সেখানে তার ভালোলাগা ও মনকাড়া দৃশ্যগুলির কথা।
'একাধিক ভাস্কর্যের সমন্বয়ে জাদুঘরটি নির্মিত, উপসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন স্থাপনাকে কৃত্রিমরূপে একীভূত করা হয়েছে সেখানে। আপনি ডুব দিলেই ডুবো জাদুঘরটি আপনার সামনে হাজির করবে 'মধ্যপ্রাচ্যে'কে। সৌদি আরবের ফয়সালিয়া টাওয়ার, সৌদি টাওয়ার, কুয়েতের আধুনিক কিছু স্থাপনা, বাহরাইনের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সুউচ্চ ভবন বুর্জ আল খালিফা-কি নেই সেখানে?' বলছিলেন আলোকচিত্রী মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল হাম্মাদী।
তিনি জানান,'জাদুঘরের সহকারী একজন প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তিনি জানিয়েছেন,জাদুঘরটি নির্মাণে তাদের মূল লক্ষ্য ছিলো মাছের জন্য আকর্ষণীয় ও উপযুক্ত একটি পরিবেশ তৈরি করা। এর মাধ্যমে বিভিন্নরকমের সামুদ্রিক জীবের প্রজনন যেন বৃদ্ধি পায় তারা সেটিই চেয়েছে'।
আলোকচিত্রী উল্লেখ করেন, ফাইবার গ্লাস (Fiberglass) এর উপাদান ব্যবহার করে ভাস্কর্যগুলো তৈরি করা হয়েছে, যা পরিবেশবান্ধব এবং সামুদ্রিক প্রাণীদের ক্ষয়ক্ষতি হবার আশঙ্কা একেবারেই নেই।
'আন্ডারওয়াটার জাদুঘরটির প্রথম ধাপের কাজ ২০১৬ সালে সমাপ্ত হলেও এখন চলছে দ্বিতীয় ধাপের কাজ। এই ধাপে এটির ব্যাপক সংস্কার এবং উন্নয়ন হবে এবং মূল কাজগুলো শেষ হলেই এখানে নিয়ে আসা হবে নতুন নতুন আরো অনেকগুলো ভাস্কর্য'। জানান আলোকচিত্রী মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ।
সবশেষে তিনি বলেন, ডুবো জাদুঘরটি দর্শনার্থীদেরকে দারুণভাবে আকর্ষণ করে। এটি শুধুমাত্র ডুবুরি পর্যটকদের মনোরমের স্থান, তা একেবারেই না বরং জায়গাটি নারীপুরুষ সবশ্রেণীর মানুষের পছন্দের। এমনকি ১০ বছরের শিশুরাও ডুব দিয়ে আশ্চর্য জাদুঘরটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে-সে ব্যবস্থাও রয়েছে।
সূত্র: সিএনএন, আল আরাবিয়া ।
আরএম/