সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জামায়াতের সঙ্গে মতভিন্নতা আছে, শত্রুতা নয়: মাওলানা ফজলুর রহমান মসজিদে নববীর ইমামকে মালদ্বীপে লালগালিচা অভ্যর্থনা মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করলে আমাদের জীবন আলোকিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা বর্তমানে ‘উলূমুল হাদিস’-এর প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশের মতো সম্প্রীতি আশপাশের দেশে খুঁজে পাবেন না: ধর্ম উপদেষ্টা ‘গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানো উম্মাহর আবশ্যিক দায়িত্ব’ নারী কমিশনের প্রস্তাবে পতিত স্বৈরতন্ত্রের সুযোগ: গাজী আতাউর বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভবনের স্বীকৃতি পেল মসজিদুল হারাম ‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর’ নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়: খেলাফত মজলিস

ইসলাম প্রচারক দ্বীন মোহাম্মদ: অমুসলিমদের জীবনে আলোর ফোয়ারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: দ্বীন মোহাম্মদ শেখ। বিশ্বের অন্যতম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বাদিন জেলার মাতলি শহরে তার বসবাস। হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু তার জীবনে কোন আলো ছিল না। জীবনের সব অধ্যায় নিকশ কালো অন্ধকারে ঢাকা ছিল।

আলোকিত জীবনের খোঁজে  ১৯৮৯ সালে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আসে দ্বীন মোহাম্মদ। ইসলাম গ্রহণ করার পর ধর্ম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। তার হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার মানুষ।

তিনি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকেন। বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, দ্বীন মোহাম্মাদের দাওয়াতে ১ লাখ ৮ হাজার মানুষ ইসলাম কবুল করেছেন।

দ্বীন মোহাম্মদ শেখ স্থানীয় আল্লাহওয়ালী জামেয়া মসজিদের সভাপতি। তিনি অসহায় ইসলাম গ্রহণকারীদের আবাসনের জন্য প্রায় ৯ একর জায়গারও ব্যবস্থা করেছেন। যারা সেখানে বসবাস করবে।

ইসলাম গ্রহণের পর দ্বীন মোহাম্মদ শেখ বলেন, ‘আমি সব সময় ইসলামকে ভালোবাসি। ইসলাম গ্রহণ করার আগে পবিত্র কুরআন অধ্যয়ন করতে শুরু করি। কুরআন পড়ার পর বুঝতে পারি ৩৬০ দেবতার পূজা করে আসলেও কোনোদিন আমার কোনো উপকারে আসেনি।

ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানার জন্য মোহাম্মদ জাগসি নামে এক মুসলিম শিক্ষক খুঁজে বের করেন। আর তার কাছে নিয়মিত পবিত্র কুরআন এবং হাদিসের বাণী সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে থাকেন।

ভাগ্যক্রমে দ্বীন মোহাম্মদ শেখের চাচাও একই মানসিকতার লোক ছিলেন। তারা দু’জন এই মর্মে একমত হলেন যে, তারা একে অপরকে সব কাজে সহায়তা করবেন। অতঃপর তিনি তার মেয়েদের বিয়ের পর ইসলাম গ্রহণ করেন এবং ইসলাম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন।

ইসলাম গ্রহণ করে তিনি ধর্ম প্রচারে একটি মিশনারী তৈরি করেন। তিনি তার পরিবার থেকে ইসলামের দাওয়াত শুরু করেন। পরিবারের শক্তিশালী সমর্থনই ইসলামের প্রচার কাজে তার মানসিক শক্তি বাড়িয়ে দেয়।

পাকিস্তানের মাতলি শহরের চিনি শিল্পের মালিক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা জেনারেল সিকান্দার হায়াত দ্বীন মোহাম্মদ শেখকে দ্বীনের প্রচারে আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দেন। কিন্তু দ্বীন মোহাম্মদ শেখ সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।

তবে তিনি সিকান্দার হায়াতকে নও মুসলিমদের চাকরি দেয়ার প্রস্তাব করেন। আর তাতেই রাজি হয়ে যান সিকান্দার হায়াত। সেনা কর্মকর্তা ও তার মেয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠানে নও মুসলিমদের চাকরির ব্যবস্থা করেন।

দ্বীন মোহাম্মদ শেখের ধর্ম প্রচারের কথা পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়লে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ তার কাছে এসেই ইসলাম গ্রহণ করেন। তার আবাসিক বাড়ির মসজিদেই নও মুসলিম শিশু কিশোর নারী ও পুরুষদের জন্য রয়েছে নামাজ ও পবিত্র কুরআন শেখার ব্যবস্থা।

নারী শিক্ষকদের দিয়ে নারীদের কুরআন শেখারও রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। সেখানে ১৫ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে কুরআন ও নামাজ শেখানোর ব্যবস্থা রেখেছেন তিনি।

সবাইকে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করাকেই নিজের জীবনের মিশন হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ