আওয়ার ইসলাম: শহরজুড়েই চলছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। একবার যাদের হয়েছে তাদের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে কিনা তা জানতে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াই শ্রেয়। তবে কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো দেখামাত্র ডেঙ্গু জ্বর সম্বন্ধে সচেতন হতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বরে রোগীর সারা গায়ে ঘামাচির মতো লাল লাল র্যাশ উঠতে পারে। সাধারণত বুকের দিকে বেশি দেখা যায়। এই র্যাশে চাপ দিলে সেই জায়গাটা সাদা হয়ে যাবে আবার কিছুক্ষণ পর ফেরত চলে আসবে।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়তে পারে। ডেঙ্গু জ্বর হলে মলের রঙ পরিবর্তন হতে পারে অর্থাৎ পায়খানা কালো হতে পারে।
জ্বরের তীব্র পর্যায়ে ধমনী ছিদ্র হয়ে যেতে পারে এবং রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যেতে পারে। ডেঙ্গুর এ তীব্র মাত্রাকে ডাক্তারি ভাষায় ডেঙ্গু হেমোরেজিক বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম বলা হয়।
যার উপসর্গ হলো শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হওয়া কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়া, অবিরাম অস্বস্তি এবং অবসাদ।
অনেক ক্ষেত্রে কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও বিরামহীন মাথা ব্যথা, বমি ভাব ও বমি হওয়া, হাড় ও হাড়ের জোড়ায় ব্যথা,পেশিতে ব্যথা, গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, চোখের পেছনে ব্যথা হওয়া ইত্যাদি হতে পারে।
অতিরিক্ত ক্লান্তি লাগলে, প্লাটিলেটের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কমে গেলে, শ্বাসকষ্ট হলে বা পেট ফুলে পানি এলে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে, জন্ডিস দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
ডেঙ্গু জ্বরে কোনো প্রকার পেইন কিলার দেয়া যাবে না। রোগীকে ভুলেও অ্যাসপিরিন দেয়া যাবে না।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী সাধারণত কোনো চিকিৎসা ছাড়াই পাঁচ থেকে দশ দিন পর ভালো হয়ে যায়। তবে রোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শে চলতে হবে। যাতে মারাত্মক জটিলতায় পড়তে না হয়।
আরএম/