আওয়ার ইসলাম: চিঠি একজনের পক্ষ থেকে অন্যজনের জন্য লিখিত বার্তা। চিঠি দুপক্ষের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখে। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ চিঠি আদান-প্রদান করেছে। নফসের এসলাহীর জন্য চিঠি ব্যবহারের প্রচলন ছিল।
মুরিদ নিজের অবস্থা বর্ণনা করে চিঠি লিখতো। তার পীর তাকে অবস্থার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন আমল দিতো। বর্তমান আধুনিক সময়েও চিঠি ব্যবহার একদম শেষ হয়ে যায়নি। এখনো কেউ কেউ চিঠি ব্যবহার করে থাকে। সেজন্য আজকে আমাদের এ আয়োজন।
১. একদম উপরে বিসমিহী তা‘আলা।
২. সালাম লিখার পর বিষয়বস্তু শুরু করবে।
৩. কাগজের মধ্যে লম্বা ভাবে মাঝখানে ভাজ করবে, তার পর ডান অর্ধেকে লিখবে এবং বাম অর্ধেকে জবাবের জন্য খালি রাখবে।
৪. ইসলাহী সম্পর্ক কায়েম এর এজাযত না নিয়ে ইসলাহী চিঠি লিখবে না।
৫. প্রত্যেক চিঠির উপরে বিস্মিহী তা‘আলার নিচে চিঠি নং…… লিখবে।
৬. চিঠি খামের ভিতরে দিবে, খামের উপর শুধু নিজের নাম ও ঠিকানা লিখবে (এটা হাতে হাতে নেয়ার ক্ষেত্রে)।
৭. প্রত্যেক চিঠির সাথে আগের চিঠির ফটোকপিও দিয়ে দিবে।
৮. এক চিঠিতে একটা সমস্যার বেশি উল্লেখ করবে না, এক পাতার ভিতরে শেষ করতে চেষ্টা করবে, একান্ত প্রয়োজন হলে ভিন্ন কথা।
৯. পরামর্শ অনুযায়ী কতটুকু আমল করা হয়েছে? এবং ফলাফল কি? তা অবশ্যই উল্লেখ করবে।
১০. চিঠির শেষে নাম ঠিকানা ও তারিখ লিখবে।