আওয়ার ইসলাম: শ্বশুরের সংবাদ সম্মেলনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে রিফাত শরীফের স্ত্রী স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি দাবি জানান, গতকাল তার শ্বশুর সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন তা মনগড়া ও বানোয়াট।
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে রিফাতের বাবার সংবাদ সম্মেলনের পরদিন এবার ১৪ জুলাই বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান মিন্নি।
তিনি বলেন, আসামিরা আমার শ্বশুরকে চাপে ফেলে মনগড়া কথা বলাচ্ছেন। বর্তমানে আমার শ্বশুর অসুস্থ এবং একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তিনি আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যখন যা বলেন তা কোন কিছুই পরে মনে রাখতে পারেন না।
তিনি বলেন, এই হত্যার পেছনে যারা তারা অনেক প্রভাবশালী। আমার শ্বশুরকে চাপে ফেলে মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন আসামিরা।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে রিফাতের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ দাবি করেছিলেন, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি আগে নয়ন বন্ডকে বিয়ে করেছিল। ওই বিয়ে গোপন করে রিফাত শরীফকে বিয়ে করে মিন্নি। বিষয়টি আমাদের জানায়নি মিন্নি এবং তার পরিবার। কাজেই রিফাত শরীফ হত্যার পেছনে মিন্নির মদদ রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনলে সব বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগের বিষয়ে মিন্নি বলেন, আমার স্বামীকে হত্যার ভিডিওতে দেখা যায়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অস্ত্রের মুখে প্রতিবাদ করেছি স্বামীকে বাঁচানোর জন্য। সেই ভিডিও দেখে সারাদেশের মানুষ আমার সাহসের প্রশংসা করেছেন। পরবর্তীতে আমার শ্বশুর নয়ন বন্ডসহ মোট ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু সেই মামলার এজহারের কোথাও আমার নাম উল্লেখ করেন নি। বরং আমি ওই মামলার ১নং সাক্ষী।
মিন্নি আরো বলেন, প্রধান আসামি নয়ন বন্ড এলাকার মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসাসহ অনেক খারাপ কাজের সাথে জড়িত। বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকায় তার নামে অনেক মামলা রয়েছে। ০০৭ নামের যে গ্রুপটি বরগুনায় যারা সৃষ্টি করেছেন তারা খুবই ক্ষমতাবান ও অর্থশালী। তারা এ বিচারকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য গতকাল আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে। তারা যে অভিযোগগুলো করেছে সেগুলো সম্পূর্ণ মনগড়া ও বানোয়াট। আমার শ্বশুরের সকল বক্তব্যের আমি তীব্র নিন্দা জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানায় মিন্নি। সেই সাথে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান, তার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যাচার করছে যাতে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হয়।
আরএম/