আওয়ার ইসলাম: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আলেম সমাজের ভূমিকার ভূয়সি প্রসংশা করে বলেন, প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান সারা জীবন ইসলামকে এগিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টায় নিয়োজিত ছিলেন। আমি মনে করি, দেশের আলেম-ওলামারা সরকারকে সহযোগিতা করে তাহলে দেশ আরও সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে।
সোমববার (১৩ জুলাই) বিকেলে গুলিস্তান কাজী বশির মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে সংগঠনের সাবেক আমীর প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান রহ. এর স্মরণে অনুষ্ঠিত জাতীয়
কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।
আমীরে মজলিস শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূপুরীরর সভাপতিত্বে কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র সহ- সভাপতি শায়খুল হাদীস আল্লামা আশরাফ আলী বলেন, প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান রহ. ছিলেন একজন হক্কানী আলেম। তিনি আমৃত্যু খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে গেছেন। ইসলামের জন্য তার অবদান সোনালী হরফে লেখা থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে আমীরে মজলিস শাইখুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী বলেন, প্রিন্সিপাল রহ. আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তার আদর্শ বেঁচে আছে। সারা দেশের সকল কর্মীকে এ আদর্শ ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন সারা পৃথিবীতে আজ আশান্তির দাবানল জ্বলছে। বিশ্ব মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে।
কনফারেন্সে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, দেশে খুন ধর্ষণ নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়েই চলছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সরকারকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি ভারতে গণহারে মুসলমানদের নির্যাতন ও হত্যার বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
দলের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ ও মাওলানা আতাউল্লাহ আমীনের পরিচালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বুদ্ধিজীবি ও অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক) এর মহাসবি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরুদ্দীন আহমদ কামরান, মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামীদ, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক) এর মহাপরিচালক মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী, সিলেট দরগাহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম ডি জাকির হোসেন, প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান রহ. এর সাহেবজাদা মাওলানা সামিউর রহমান মুসা।
ড. মাহবুব উল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমানের আদর্শ আমাদের ধারণ করতে হবে। আমাদের সৌভাগ্য এইযে, আমরা একজন প্রিন্সিপাল হাবীবুর রহমান পেয়েছিলাম। তার শেষ রাতে জায়নামাজের কান্নার আমল আমাদের ধারণ করতে হবে।
বাংলাদেশ যুব মজলিসের সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক বলেন, কিভাবে একটি ঘুমন্ত জাতিকে জাগ্রত করতে হয়, কিভাবে অধপতিত একটি জাতিকে অধিকার আদায়ে জাগিয়ে তুলতে হয়, কিভাবে ইসলাম ও মুসলিমদের চির শত্রু নাস্তিক মুরতাদ বেইমানদের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়তে হয়, কিভাবে তসলিমা নাসরিনদের মত নাস্তিকদের দেশ ছাড়া করতে হয়, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাবেক আমীর প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান রহ. দেশ ও জাতিকে দেখিয়ে গিয়েছেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির, মোহাম্মদপুর আল্লাহ করিম জামে মসজিদের খতিব মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমি বলেন, দারুল উলুম দেওবন্দের প্রথম ছাত্র আল্লামা মাহমুদুল হাসান দেওবন্দি রহ. এর ইন্তিকালের পর দেওবন্দে হজরতের স্মরণে একটি স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নাম দেয়া হয তাযিয়াতে আল্লামা মাহমুদুুল হাসান।
তিনি বলেন, সে স্মরণ সভায় শাইখুল মুহাদ্দিসিন আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মিরি রহ. কয়েকটি শেয়ার বা কবিতা পাট করেন, তিনি বলেন, পৃথিবীর সব কিছু একদিন শেষ হয়ে যাবে। কোনো কিছু থাকবে না পৃথিবীতে। তখনও আল্লাহ ওয়ালাদের অস্তিত্ব বাকী থাকবে। আল্লাহ ওয়ালাদের কিছু হবে না। আমি মনে করি প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান রহ. তাদেরই একজন ছিলেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুন।
কনফারেন্সে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নায়েবে আমীর মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা আলী উসমান, সাবেক মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মুফতি শরাফত হোসাইন, বেফাকের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি নুরুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, ড. জি এম মেহেরুল্লাহ, মাওলানা এনামুল হক মূসা, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুল হক, সহ-বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা নিয়ামাতুল্লাহ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মুহসিনুল হাসান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ আব্দুর রহীম, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন খান, ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আতাউল্লাহ হোসাইনী প্রমুখ।
আরএম/