মোস্তফা ওয়াদুদ
বিশেষ প্রতিবেদক
দেশে সামাজিক অপরাধের প্রবনতা দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রতিদিনই সংবাদপত্রের পাতায় স্থান পাচ্ছে নানান অপ্রীতিকর ঘটনার খবর। ইতোপূর্বে বাংলাদেশে সামাজিক অপরাধের মাত্রা ছিল ১.১০ শতাংশ, তা বেড়ে হয়েছে ১১.৮০ শতাংশ।
শিশুদের থেকে মাত্র ০.১ শতাংশ অপরাধ সংঘঠিত হলেও বর্তমানে ২.৭ শতাংশ শিশু কোনো না কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে বাংলাদেশ শিশু-কিশোর উন্নয়ন সংস্থার চলতি বছরের প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। এরপর শিশুত্বের গণ্ডি পেরিয়ে কৈশোরে পৌঁছালে অপরাধের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। যা দেশে মহামারি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
সামাজিক এসব অপরাধের মাঝে রয়েছে খুন, গুন, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজী, গুপ্তহত্যা, ছুরিকাঘাতে দিন-দুপুরে হত্যা। দেশের আনাচে কানাচে ঘটে যাওয়া এসব সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে সর্বমহল থেকে আওয়াজ উঠছে। সামাজিক এসব অপরাধ প্রতিরোধে সারাদেশের ইমাম-খতিবরাও কাজ করে চলছে।
দেশে সরকারিভাবে পর্দার বিধান চালু করলে ধর্ষণের অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে বলে মনে করছেন, কুমিল্লা কান্দিরপাড় মসজিদের খতিব মুফতি শামসুল ইসলাস জিলানী।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখন পর্দাহীনতা বেড়ে গেছে। উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীদের পর্দার প্রতি যত্নবান হতে হবে। অপর লিঙ্গের প্রতি দায়িত্ববোধসম্পন্ন করে তরুণ সমাজকে তৈরি করতে হবে। তাহলে ধর্ষণ নামক সামাজিক অপরাধ থেকে দেশ মুক্তি পাবে।
নারায়ণগঞ্জ আমতলা জামে মসজিদের খতীব মুফতি সুলতান মাহমুদ আশরাফ বলছিলেন ভিন্ন কথা। তার মতে, ধর্ষণসহ সকল অপরাধ নির্মূলের জন্য নৈতিক শিক্ষা জরুরি।
তিনি বলেন, শিশুকে যা শিখানো হয়, সে তাই শিখে। বড় হয়ে সে তার শিক্ষাটাই বাস্তবায়ন করে। এজন্য এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থাই পারে সামাজিক এসব অপরাধকে সমূলে নির্মূল করতে।
রাজধানীর বায়তুল আমান জামে মসজিদের খতিব মুফতি তাওহীদুল ইসলামের ধারণা অপরাধীকে যথাযথ শাস্তিপ্রদান না করায় দেশে অপরাধের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে।
যদি একটি অপরাধের পর তাকে তার প্রাপ্য শাস্তি প্রদান করা হতো তাহলে অপরাধী দ্বিতীয় অপরাধ করার সাহস পেতো না বলে মতামত দেন তিনি।
তিনি সৌদি আরবের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে হত্যার বদলে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশেও যদি হত্যার বদলে হত্যার আইন চালু করা হয় তাহলে খুনি খুন করার সাহস হারাবে। আর এতে মুক্তি মিলবে সাধারণ মানুষের।
আরএম/