আওয়ার ইসলাম: পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিহার, আসাম, মেঘালয় এবং নেপাল ও বাংলাদেশের ভেতরে ভারি বৃষ্টিপাতে কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারি বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
গতকাল বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।
বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত নদীগুলো হচ্ছে- সুরমা, সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরী, কংস, সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও তিস্তা। এছাড়া যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় যমুনার পানি জামালপুর জেলায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তাছাড়া সরকারি হিসাবে, বন্যায় সুনামগঞ্জের প্রায় ১৩ হাজার ১০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থাকার এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সব সময় খোলার রাখার নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ১২ জায়গায় ফেনীর মুহুরী ও কহুয়া নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গত দুই দিনে প্লাবিত হয়েছে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ২০টি গ্রাম। প্রথম দিনের প্লাবিত ১৫ গ্রামের পানি কমলেও প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম।
টানা ভারী বর্ষণে রাঙামাটিতে পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাটি ধসে গিয়ে ঝুঁকিতে পড়েছে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়ক। ছড়ার স্রোতের গতি পরিবর্তন করে সড়ক ধস এড়াতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সড়ক বিভাগ।
লালমনিরহাটে আজ সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আশপাশের কয়েকটি গ্রামে দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। নেত্রকোনা দুর্গাপুর, বারহাট্টা ও কলমাকান্দার প্রায় ১৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
আরএম/