আওয়ার ইসলাম: সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ট্রলার উল্টে নিখোঁজ আরও তিনজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয়জনে।
বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন সময়ে কক্সবাজার ও মহেশখালীর সমুদ্র উপকূল থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, বৃহস্পতিবার রাতের বিভিন্ন সময়ে কক্সবাজার ও মহেশখালীর সমুদ্র উপকূলে ভাসমান অবস্থায় আরও তিনজনের মরদেহ পাওয়া যায়।
মরদেহগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ওই ট্রলারের তিন জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। জীবিত উদ্ধার দুই জেলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জীবিত উদ্ধার হওয়া জেলে মনির আহমদ ওরফে জুয়েল মাঝি জানান, দুর্যোগে পড়া ট্রলারটির মালিক ভোলার চরফ্যাশন এলাকার ওয়াজ উদ্দিন পিটার ওরফে মিন্টু। গেল ৪ জুলাই ট্রলারটি মাছ ধরার জন্য ভোলা চরফ্যাশনের ছমরাজ ঘাট থেকে সাগরে নেমেছিল। ট্রলারটিতে মোট ১৪ জন জেলে ছিলেন। ৬ জুলাই ঝড়ো হাওয়ায় ট্রলারটি উল্টে যায়।
এর আগে ভাঙা ট্রলারটি থেকে ছয়জনের মরদেহ এবং দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন, ভোলা জেলার চরফ্যাশন রসুলপুর এক নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আসমান পাটোয়ারীর ছেলে শামছুদ্দিন পাটোয়ারী (৪৫), পূর্ব মাদ্রাজ এলাকার মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে মোহাম্মদ বাবুল (৩২),
উত্তর মাদ্রাজ এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে মোহাম্মদ মাসুদ (৪৫), একই এলাকার মৃত বুজুগ হাওলাদারের ছেলে আজি উল্লাহ ওরফে মনির (৩৮), মৃত মোহাম্মদ নুরের ছেলে অলি উল্লাহ (৫০), রসুলপুরের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের শষীবিষন এলাকার মুসলিম বলির ছেলে জাহাঙ্গীর বলি (৪০) এবং পূর্ব মাদ্রাজের মো. তরিক মাঝির ছেলে কামাল হোসেন (৩৫)।
-এএ