নুরুল্লাহ্ আশরাফী
দেওবন্দ থেকে
ভারতের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী সংগঠন 'জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের ১০০ বছর পূর্ণ হওয়ায় শতবার্ষিকী সম্মেলন আয়োজনের উদ্যেগ নিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। ইতোমধ্যেই সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্ততি গ্রহণ করেছে জমিয়ত নেতৃবৃন্দ। এরই ধারাবাহিকতায় কয়েকটি প্রদেশের নেতৃবৃন্দ দেওবন্দে পৌঁছেছেন এবং শতবার্ষিকী সম্মেলনের জন্য স্থান নির্বাচনও শুরু করেছেন।
১১ জুলাই সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা হাকীম উদ্দীন কাসেমী বলেন, শতবার্ষিকী সম্মেলনের তারিখ এবং অন্যান্য সমস্ত কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত দিল্লির জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য মিটিংয়ে নির্ধারিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের স্বাধীনতার পূর্বেই ১৯১৯ সালে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো। এই সংগঠন বিগত ১০০ বছর ধরে দেশ এবং জাতির নানা রকম সেবা-সহযোগিতা করে আসছে। দেশের স্বাধীনতায় জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের ভুমিকা ছিলো অবিস্মরণীয়। স্বাধীনতার পর থেকে দেশ বিনির্মাণ এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মাওলানা হাকীম উদ্দীন কাসেমী আরো বলেন, প্রসিদ্ধ আলেম ও মাওলানা হুসাইন আহমাদ মাদানী রহ.-এর নাতী মাওলানা আফফান মানসুরপুরীকে শতবার্ষিকী সম্মেলনের আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়েছে।
তিনি শতবার্ষিকী সম্মেলনে জাতি, দল-মত নির্বিশেষে সকল মুসলমানদের উপস্থিতি কামনা করে বলেন, এই সম্মেলন দেশ ও জাতির ঐতিহাসিক মাইলফলক হয়ে থাকবে। এজন্য সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের উপস্থিতি একান্ত প্রয়োজন।
এই শতবার্ষিকী সম্মেলন চলতি বছর নভেম্বর মাসেই ঐতিহ্যবাহী দেওবন্দের পূন্যভূমিতেই অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, পশ্চিমবাংলা রাজ্য জমিয়তে উলামা হিন্দের সভাপতি ও গণগ্রন্থাগার বিষয়ক মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তাবিত সভাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
দেওবন্দের মিটিংয়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ্ চৌধুরী, মহারাষ্ট্র জমিয়তের সভাপতি নাদিম সিদ্দিকী,প্রাদেশীক সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মদ মাদানী,জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা ফরীদ মাজাহেরী, সাইয়্যেদ যাহীন আহমাদ,মাওলানা ইবরাহীম কাসেমী প্রমুখ।
আরএম/