আওয়ার ইসলাম: চীনের পশ্চিম জিনজিয়াং এলাকায় মুসলিম শিশুদেরকে কৌশলে তাদের বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিং।
গত রোববার বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, শিশুদেরকে তাদের অভিভাবকদের থেকে মোটেও বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে না। এটা উগ্রবাদ থেকে তাদের দূরে রাখার প্রক্রিয়া।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম অনেক শিশুর বাবা-মা হয় জেলে, না হয় ক্যাম্পে বন্দী আছেন। পাশাপাশি উইঘুর মুসলিম শিশুদের জন্য বোর্ডিং স্কুল তৈরির জন্য দেশটিতে ব্যাপক প্রচারণা কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।
জিনজিয়াং-এর স্থানীয় একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেসব শিশুর বাবা-মাকে আটক করা হয় তাদেরকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানেই শিশুদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় এবং এ শিশুদেরকে ভালোভাবে দেখ-ভাল করার নির্দেশ দেয়া হয়।
সমালোচকদের মতে, শিশুদেরকে তাদের মুসলিম কমিউনিটি থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই মূলত এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তবে, এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিং।
উল্লেখ্য, চীনে প্রায় দেড় কোটি উইঘুর মুসলমানের বাস। এ প্রদেশটি তিব্বতের মত স্বশাসিত একটি অঞ্চল। বিদেশি মিডিয়ার ওপর এখানে প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু গত বেশ কয়েক ধরে বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছে, সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ব্যাপক হারে আটকের শিকার হচ্ছে।
-এএ