আওয়ার ইসলাম: রডের খুচরা বিক্রিতে পাঁচ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা।
এ সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। উচ্চ হারের কারণে এ খাত থেকে ভ্যাট আদায়ই অনিশ্চিত হয়ে পড়বে, আশঙ্কা এনবিআর কর্মকর্তাদের।
এক টন রডে ভ্যাট ছিলো দুইশ টাকা। আবার অনেক ব্যবসায়ী প্যাকেজ ভ্যাটও দিতেন। চলতি অর্থবছরের বাজেটে রডের খুচরা বিক্রিতে ভ্যাট ধরা হয়েছে পাঁচ শতাংশ।
এর ফলে মধ্যমানের এক টন রডের দাম ষাট হাজার টাকা হলে ভ্যাট দিতে হবে তিন হাজার টাকা। ভ্যাট বেড়েছে উৎপাদন পর্যায়েও। পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, এত ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব হবে না।
ভ্যাট বাড়ানোর খবরে গত সপ্তাহে বৈঠক করেন ইংলিশ রোড রড ব্যবসায়ী সমিতি। বৈঠকে অন্য সমিতিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচি দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাড়তি ভ্যাটের বোঝা বইতে হবে ভোক্তাকেই। তবে ভোক্তার দেয়া টাকা সরকারি কোষাগারে পৌঁছবে কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে তাদের। এজন্য প্রতি দোকানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস বা ইএফডি দেয়ার পরামর্শ তাদের।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে রডের উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা আছে। গ্যাসের দাম ও ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে এক টন রডে খরচ বাড়বে প্রায় আট হাজার টাকা। এতে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আবাসন খাতে।
-এটি