আওয়ার ইসলাম: রাজধানী ঘেরা নদীর উদ্ধার হওয়া তীরে শুরু হলো উন্নয়ন প্রকল্প। বুড়িগঙ্গার খোলামোড়া ঘাটে আজ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
এসময় তিনি হুঁশিয়ারি দেন, কেউ আবারো নদীর জমি দখল করার চেষ্টা করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে। প্রকল্পের কাজে কেউ বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে নেয়া হবে আইনি ব্যবস্থা।
নদী তীর দখলমুক্ত করে সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়ে ও বিনোদন পার্ক নির্মাণ করে ঢাকাবাসীর জন্য নদীকে বিনোদনের জায়গা হিসেবে পরিচিত করতে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে প্রকল্প হাতে নেয় বিআইডাব্লিউটিএ। এর অংশ হিসেবে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি বুড়িগঙ্গা নদীর কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া ঘাটে শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান।
চলমান এ অভিযানে ৩৯ দিনে সাড়ে চার হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উদ্ধার হওয়া নদী তীরে এবার সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে হাত দিলো বিআইডাব্লিউটিএ।
কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া ঘাটে সীমানা পিলার স্থাপনের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে রামচন্দ্রপুর হতে বসিলা ও রায়েরবাজার হতে কামরাঙ্গীর চর পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু হলো।
নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০২০ সালের জুনের মধ্যেই নদী তীরের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শেষ হবে।
উদ্ধার হওয়া তীর কেউ পুনরায় দখলের চেষ্টা করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে। এর আগে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, নানা প্রতিকূল পরবেশের মধ্যেই নদী তীর দখলমুক্ত করা হয়েছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে তীরে সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি নদী দূষণমুক্তও করা হবে।
পুরো প্রকল্পে ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, ৪০ কিলোমিটার তীররক্ষা দেয়াল, ১০ হাজার ৮'শ ২০টি সীমানা পিলার, ০৬টি পন্টুন, ০৩টি ইকোপার্ক ও ০২টি দৃষ্টিনন্দন পার্ক নির্মাণ করা হবে।
-এটি