আবদুল্লাহ তামিম
অসাধারণ নান্দনিক কারুকার্য ঘেরা তিনটি গম্বুজ মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকা মিঠাপুকুর বড় মসজিদ। বয়সে ঐহিত্যে বেশ পুরনো। রঙ্গ নির্মাণশৈলির আকর্ষণে আকৃষ্ট না হয়ে উপায় নেই দর্শনার্থীদের। রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচিয়ে। মসজিদটি নির্মাণ হয়েছে প্রায় ২০৯ বছর আগে।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার গড়ের মাথা। সেখান থেকে পশ্চিম দিকে চলে গেছে এশিয়ান হাইওয়ে। দিনাজপুর-ফুলবাড়ি নামক এই সড়ক ধরে হেঁটে গেলে দশ মিনিট আর যানবাহনে গেলে পাঁচ মিনিট।
সড়ক থেকে দক্ষিণ দিকে (বামে) তাকালেই চোখে পড়বে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ। এই মসজিদের নাম মিঠাপুকুর বড় মসজিদ।
মিঠাপুকুর বড় মসজিদ বাংলাদেশের রংপুর বিভাগে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। এটি মূলত রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার অন্তর্গত একটি প্রাচীন মসজিদ। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।
রংপুর থেকে এখানে আসতে হলে আপনাকে প্রথমে বাস বা অটো রিক্সা করে গড়ের মাথা নামক জায়গায় আসতে হবে । এখানে আসার পর পশ্চিম দিকে যে রাস্তাটি চলে গেছে বিরামপুর ও দিনাজপুর সেই রাস্তা ধরে হেটে গেলে ৫ মিনিট আর যানবাহন যেমন রিক্সায় গেলে ২ মিনিটেই যেতে পারবেন মিঠা পুকুর বড় মসজিদে।
মিঠাপুকুর নামক উপজেলা সদরে এ মসজিদটি অবস্থিত বলে একে মিঠাপুকুর বড় মসজিদ বলে। মিঠাপুকুর বড় মসজিদ এর অদুরে উত্তর দিক থেকে পাকা সড়কে পশ্চিমে দীর্ঘ, প্রায় ২৫ একর আয়তনে একটি জলাশয় আছে। এটি প্রাক মুসলিম আমলে তৈরি তাতে সন্দেহ নেই।
দিঘির নাম মিঠাপুকুর সেই নাম অনুসারে স্থানের নাম হয়েছে মিঠাপুকুর। এ মসজিদের চার কোনায় চারটি মিনার আছে। সেগুলি আট কোনাকার তৈরি। মিনারগুলি ছাদের কিছু উপর উঠে ছোট গম্বুজ শেষ। সামনের দেয়ালে তিনটি প্রবেশ প্তহ আছে। উত্ত্র-দকশিনে একটি করে। সামনের দেয়ালে কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথ। ভিতরে পশ্চিম দেয়ালে আছে তিনটি মেহরাব। মসজিদের ছাদের উপরে আছে তিনটি কন্দকারে নির্মিত তিনটি সুন্দর গম্বুজ।
-এটি