আবদুল্লাহ তামিম: সৌদি আরবের মসজিদের নববির সুন্দর আরবি ক্যালিগ্রাফিগুলো তার নিজ হাতে করা। আজ ৩০ বছর ধরে তিনি রাসুল সা. এর রওজা মুবারকসহ পুরো মসজিদে নববির ক্যালিগ্রাফি করে আসছেন।তার নাম শফিকুজ্জামান।
পাকিস্তানী এ শিল্পী আজ থেকে ৩০ বছর আগে মসজিদে নববির এ অসাধারণ স্বপ্নের কাজটি পরিচালনা করার জন্য তিনি সৌদি আরবের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। মসজিদে নববি, যেখানে আমাদের প্রিয় নবি শায়িত, এর অধিকাংশ ক্যালিগ্রাফি তিনি এঁকেছেন।
শফিকুজ্জামান ৪০ বছর আগে সৌদি আরবের রিয়াদের একটি দোকানে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘হারাম বেস্ট ক্যালিগ্রাফার’ নামক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে তার জীবন পাল্টে যায়।
ছোটবেলায় শফিক কয়েকটি কলিগ্রাফি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। কিন্তু মসজিদুল হারামের আয়োজিত ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হলে তার জীবনের গতিই পাল্টে যায়। ওই প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন।
এরপরে তার আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত তিনি এ ক্যালিগ্রাফির কাজই করে আসছেন। শফিকুজ্জামান আরও বলেন, সৌদি আরবের লোকেরা মনে করেছিল তিনি আরবের মানুষ।
কারণ তিনি খুব সুন্দর আরবি ক্যালিগ্রাফি করতেন। সেই সঙ্গে খুব ভালো আরবিও বলতে পারতেন। তাকে মদিনার মসজিদুন নববির ক্যালিগ্রাফার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তখন থেকে ত্রিশ বছর ধরে ক্যালিগ্রাফি করে আসছেন তিনি।
তার কঠোর পরিশ্রমে মসজিদুন নববির দেয়ালে দেয়ালে, দরজায় দরজায় দেখা যায় অসাধারণ ক্যালিগ্রাফি।শফিক উজ জামান ১৭৭টি গম্বুজে ক্যালিগ্রাফির কাজ করছেন।
শাফিকুজ্জামান বলেন, আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা. এর ঘরে কুরআনের আয়াত অঙ্কন করে সুখ ও আনন্দ অনুভব। আমি তাঁদের সন্তুষ্ট করতে মৃত্যু পর্যন্ত এ কাজ করে যাবো। তার এ অসাধারণ শিল্প অবাক করেছে আরব বিশ্বকে।
সূত্র: দ্যা ইসলামিক ইনফরমেশন
-এটি