নুরুদ্দীন তাসলিম: ইবাদতের বসন্তকাল রমজান। শেষ দশকের এতিকাফ বাড়িয়ে দেয় এ মাসের আবেদন। তাইতো মৌমাছির মত মানুষেরা দলবেঁধে ছুটে বিভিন্ন মসজিদে। তারা আত্মমগ্নতায় ডুবে যায়। নিজেদের ইমান আমলের উন্নয়ন ঘটে। দেশের লাখ লাখ মসজিদের মতো জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মসজিদেও প্রতি বছর হাজারো মানুষ আসেন এতিকাফে। রাজধানী ঢাকা যাত্রাবাড়ির এই দৃশ্য সত্যি জান্নাতি পরিবেশ।
রমজানের শুরু থেকেই এখানে উপস্থিত হোন সাধারণ মানুষ। কুরআন তেলাওয়াত, জিকির, আজান, একামতের মশকসহ নিযামুল আওকাতের ভিত্তিতে বিভিন্ন আমলে সময় কাটান মুসুল্লিরা। প্রতিদিন সকাল ও তারাবির পর বয়ান করেন মাওলানা মাহমুদুল হাসান। তার বয়ান থেকে আধ্যাতিকতার খোরাক নেন আলেম উলামা ও সাধারণ মানুষ।
টানা ৫ বছর জামিয়া মাদানিয়ার মসজিদে এতিকাফ করেন ব্যবসায়ী মিরান হোসেন। মুগদা মদীনাবাগ তার এলাকা হলেও রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়িতে এতিকাফ করতে আসেন প্রতিবছর। তাকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,
‘মসজিদে অবস্থানকে এতিকাফ বলা হলেও আলেমদের সোহবতেই এর উদ্দেশ্য অর্জিত হয়। মাওলানা মাহমুদুল হাসান সারা বছর দরস-তাদরিসসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় তার সোহবত পাওয়া সম্ভব হয়না আমাদের। এ মাসে সবকিছু থেকে ফারেগ হয়ে তিনি তার সময়কে ব্যয় করেন শুধু মসজিদের জন্য। এতে একজন বিদগ্ধ আলেম থেকে হাতে কলমে দ্বীন শিখার সৌভাগ্য হয় আমাদের। যেমন সাহাবা কেরাম শিখতেন রাসুল সা. থেকে। আমরা যে দ্বীনী পরিবেশ খুঁজি বিভিন্ন জায়গায় তারই বাস্তব চিত্র রমজানের শেষ দশকে দেখতে পাই এখানে।’
মুসল্লিদের তেলাওয়াত, জিকির ও বিভিন্ন আমলে সত্যিই এক মনকাঁড়া দৃশ্য দেখা যায় জামিয়া মাদানিয়ার মসজিদে। এখানে শুধু বয়োজিষ্ট লোকেরাই না ।অনেক তরুন, যুবক ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও এখানে ইতিকাফ করেন।
মুসল্লিদের এই জান্নাতি পরিবেশ ধরে রাখতে জামিয়া কর্তৃপক্ষের তৎপরতা বেশ আন্তরিক। মুসল্লিদের খেদমতে জামিয়ার ছাত্রদের নিরঙ্কুশ সম্পৃক্ততা রয়েছে। শেষ দশকে মুসল্লিদের ভীড়ে খেদমতরতদের যেন হিমশিম খেতে না হয় সেজন্য আত্মোৎসর্গীদের এক বিশেষ জামাত নিয়োজিত করা হয় খেদমতে।
এমডব্লিউ/