আওয়ার ইসলাম: প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুতে ভাগ্যের সন্ধানে গিয়ে আটকা পড়া ১০১ জন বাংলাদেশির মধ্যে মাত্র ১৪ জন স্বেচ্ছায় দেশে আসতে চান। তবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা’র (আইওএম) কর্মকর্তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যেন সব বাংলাদেশি যেন দেশে ফিরতে রাজি হন।
জানা যায়, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা’র (আইওএম) একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ভানুয়াতুতে আটক বাংলাদেশিরা এখন আইওমের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। আইওএম তাদেরকে প্রয়োজনীয় সেবাসহ খাদ্য ও পানীয় দিচ্ছে। এই বিষয়ে আইওএম নিউজিল্যাণ্ডের বাংলাদেশ মিশন এবং ভানুয়াতু সরকারের কাছ থেকেও সহায়তা পাচ্ছে।
সূত্রমতে জানা যায়, আটকা পড়া ১০১ জন বাংলাদেশির সঙ্গে কথা বলেছে আইওএমের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের বেশির ভাগই স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে রাজি হননি। মাত্র ১৪ জন বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে রাজি হয়েছেন।
আইওএমের একজন কর্মকর্তা জানান, আটক বাংলাদেশিরা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে রাজি তো হচ্ছেন না, উল্টো ভানুয়াতুতে গিয়ে তাদের বাজে অবস্থার জন্য এক দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলারের ক্ষমিতপূরণ দাবি করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ভানুয়াতুতে আটকা পড়েছেন ১০১ জন বাংলাদেশি বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেনবেরা মিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে আইওএম’র সঙ্গে কাজ করছে।
অস্ট্রেলিয়ার আইওএম গত বছরের ডিসেম্বরে দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুতে আটক বাংলাদেশিদের তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়। তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের উদ্ধারের জন্য আইওএমের সহায়তা চায়। ভানুয়াতুতে আটকরা স্বেচ্ছায় ফিরতে চাইলেই এ বিষয়ে সহায়তা করা হবে, এমন শর্তে আইওএম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করতে রাজি হয়।
একই সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আটক বাংলাদেশিদের পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের উদ্যোগ নেয়। পরিচয় যাচাই বাছাই করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেনবেরা মিশন এবং আইওএমের সহায়তা নিয়েছে।
-এটি