আওয়ার ইসলাম: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দুই সন্তানের জননী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রাতেই মামলা দায়েরের পর শুক্রবার অস্ত্র ও গুলিসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব।
গ্রেফতার হয়েছে দোয়ালিয়া গ্রামের মোস্তফার ছেলে সাইফুল ইসলাম, রুদ্রুপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে বাবু ও হিরাপুরের চৌধুরী আলমের ছেলে হারুন। ভুক্তভোগী ওই নারীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, নির্যাতিতা ওই নারীর অভিযোগ করেছে, পুকুরে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে তার স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় হারুন, সাইফুল ও বাবুর দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিল। এনিয়ে তারা তার স্বামী ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে আসছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্বামীর অনুপস্থিতিতে ৬০-৭০ জন সন্ত্রাসী তাদের বাড়ি ঘেরাও করে। এ সময় হারুন, সাইফুল ও বাবু দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে শাশুড়িকে মারধর করে তাকে গণধর্ষণ করে।
এ সময় সন্ত্রাসীরা ঘরে ভাঙচুর চালায়। পরে স্বামী বাড়িতে এসে থানায় খবর দিলে পুলিশ রাতেই নির্যাতিতাকে প্রথমে থানায় নিয়ে যায় এবং পরে হাসপাতালে পাঠায়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলম মোল্লা বলেন, ‘এ ঘটনায় রাতেই তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করে নির্যাতিতার স্বামী বাদী থানায় মামলা করেছেন।
শুক্রবার সকালে দুই আসামি সাইফুল ও বাবুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে একটি এলজি ও এক রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিকালে র্যাব ১১ হিরাপুরে অভিযান চালিয়ে অপর আসামি হারুনকে গ্রেপ্তার করে।’
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, ‘নির্যাতিতাকে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্দেশ্যে কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামীকালও (শনিবার) কিছু পরীক্ষা করা হবে।’
-এটি